২ রানে হেরে যাকে দায় দিলেন ধোনি

প্রকাশিত: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৪, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক  :

চলতি আসরে আইপিএলের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসের একেবারে ভরাডুবি অবস্থা। কয়েক ম্যাচ বাকি থাকতেই এবার তারা সবার আগে টুর্নামেন্টের লিগপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। এমনকি আইপিএলে প্রথমবার ঘরের মাঠ চিপকে টানা ৫ ম্যাচে হারের নজির তৈরি করেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। গতকাল চেন্নাই একদম তিরে গিয়ে তরী ডুবিয়েছে। ২০তম ওভারে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ হেরেছে ২ রানে।

বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৩ রান তোলে। তাদের পক্ষে কোহলি সর্বোচ্চ ৬৩, জ্যাকব বেথেল ৫৫ এবং শেফার্ড ৫৩ করেন। লক্ষ্য তাড়ায় তরুণ ওপেনার মহাত্রের ৯৪ এবং রবীন্দ্র জাদেজার ৭৭ রানে প্রায় জয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিল চেন্নাই। তবে আসর থেকে ইতোমধ্যে বিদায় নিশ্চিত করা দলটির ইনিংস ২১১ রানে থামে।

২ রানের এই হারে ধোনির দায় দেখছেন অনেকেই। শেষদিকে নেমে ৮ বলে ১২ রান নিলেও, দলের জন্য তখন বিগ হিটারের প্রয়োজন ছিল। শিভাম দুবেকে রেখেই সেই সময় ক্রিজে এসেছিলেন ধোনি। কিন্তু অভিজ্ঞ এই তারকা ঠিক ব্যাট-বলে মেলাতে পারলেন না। বিশেষ করে অন্যান্য ম্যাচে যেহেতু নিজের ব্যাটিং পজিশন তলানিতে নিয়ে যান ধোনি, সেখানে এদিন দুবের আগে তার মাঠে নামা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার আউটের পর দুবে নেমে ৩ বলে ৮ রান করেন দুবে।

ম্যাচ শেষে হারের দায়ভারও নিজের কাঁধে নিয়েছেন চেন্নাই অধিনায়ক, ‘শেষ কয়েক ওভারে প্রয়োজনীয় রান নেওয়ার তাগিদেই আমি নেমেছিলাম। ফলে আমার আরও কয়েকটি শট মারা উচিৎ ছিল এবং চাপ কমানো উচিত ছিল, তাই এই হারের জন্য আমি দায় নেব। দোষ আমার।’

প্রথম ইনিংসের ডেথ ওভারে চিত্র বদলে ফেলেন বেঙ্গালুরুর ক্যারিবীয় তারকা রোমারিও শেফার্ড। মাত্র ১৪ বলেই তিনি আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি পূর্ণ করেন। খলিল আহমেদের ১৯তম ওভারে নেন ৩৩ রান। এরপর নিজের প্রথম ৩ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বল করা মাথিশা পাথিরানা ২০তম ওভারে ২৬ রান দেন। এই উইন্ডিজ তারকা তাণ্ডব না চালালে হয়তো বেঙ্গালুরুর পুঁজিটা ১৭০–৮০ রানেই থামত। শেষ পর্যন্ত ২১৩–তে গিয়ে ঠেকে বেঙ্গালুরুর ইনিংস। শেফার্ডের প্রশংসা ঝরেছে ধোনির কণ্ঠেও, ‘ডেথ ওভারে শেফার্ড দুর্দান্ত ব্যাট করেছে, আমরা যেভাবেই বল করতাম না কেন, ও সর্বোচ্চ রানের জন্য এভাবেই ব্যাট করত। ওকে থামানো কঠিন ছিল।’বেঙ্গালুরুর শেষের ঝড় থামাতে না পারায় নিজেদের বোলারদের ইয়র্কার দুর্বলতার কথা জানান ধোনি, ‘আমাদের আরও ইয়র্কার অনুশীলন করতে হবে। প্রায়শই যখন ব্যাটসম্যানরা মারতে শুরু করে, তখন আপনাকে ইয়র্কারের ওপর নির্ভর করতে হয়। যদি আপনি ইয়র্কারে বল না করতে পারেন, তাহলে নিচু ফুল টসই পরবর্তী সেরা বিকল্প। পাথিরানার মতো একজন, ওর গতি আছে, বাউন্সারও করতে পারে এবং যদিও ইয়র্কার মিস করে, তাহলে ব্যাটসম্যান তো মারার সুযোগ পেয়েই যাবে।’

লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য চেন্নাইয়ের প্রক্রিয়াটা সঠিকই ছিল। যা সহজ হয়েছে মহাত্রে ও জাদেজার ব্যাটে। অন্য ম্যাচের চেয়ে এদিন ব্যাটাররা ভালো করেছেন বলে উল্লেখ করেন চেন্নাই অধিনায়ক, ‘আধুনিক যুগে ব্যাটসম্যানদের প্যাডেল শট অনুশীলন করা উচিৎ। আমাদের দলেরও বেশিরভাগ ব্যাটার এটি খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। জাদেজা সেই শটটি খেলছিল বটে, তবে সে গ্রাউন্ড শটগুলো বেশি খেলছিল। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা একটু পিছিয়েই ছিলাম। কিন্তু এই ম্যাচে খুব ভালো ব্যাটিং হয়েছে।’