১০ টাকার জন্য কুপিয়ে হত্যা, একজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ১২:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

 

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

ফরিদপুরে ১০ বছর আগে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বুধবার ( ১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস জানান।

দণ্ডিত মামুন শিকদার (৩৪) গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের বিশারী বাগজোলালমাঠ বাহারা এলাকার ইউসুফ আলী শিকদারের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় মামুন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না; তিনি পলাতক রয়েছেন।

সাজার পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৬ই এপ্রিল ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পীরেরচর বাজারে ক্যারাম খেলার ১০ টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে মামুন শিকদারকে গালিগালাজ করে ফারুক ফকিরের ভাতিজা আক্তার ফকির। এক পর্যায়ে মামুন উত্তেজিত হয়ে আক্তারকে কিল-ঘুষি মারে এবং কোমরে রাখা ছুরি দিয়ে কোপ দেয়।

বিষয়টি দেখে ভাতিজাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায় ফারুক। তখন ফারুকের বুকে চাকু দিয়ে কোপ দেয় মামুন। এক পর্যায়ে ফারুক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মামুনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনার পর মামুনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ভাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা শাহজাহান ফকির। এ মামলায় মামুনকে কারাগারে পাঠানো হলে পরে জামিনে বের হয়ে আসেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ওসি মো. এমদাদুল হক মিয়া একমাত্র আসামি হিসেবে মামুন শিকদারের সম্পৃক্ততা পাওয়ার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ‘তদন্ত চলাকালে একমাত্র আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এ রায়ে ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’

১০ টাকার জন্য কুপিয়ে হত্যা, একজনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

 

ফরিদপুরে ১০ বছর আগে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গতকাল বুধবার ( ১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস জানান।

দণ্ডিত মামুন শিকদার (৩৪) গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের বিশারী বাগজোলালমাঠ বাহারা এলাকার ইউসুফ আলী শিকদারের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় মামুন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না; তিনি পলাতক রয়েছেন।

সাজার পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৬ই এপ্রিল ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পীরেরচর বাজারে ক্যারাম খেলার ১০ টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে মামুন শিকদারকে গালিগালাজ করে ফারুক ফকিরের ভাতিজা আক্তার ফকির। এক পর্যায়ে মামুন উত্তেজিত হয়ে আক্তারকে কিল-ঘুষি মারে এবং কোমরে রাখা ছুরি দিয়ে কোপ দেয়।

বিষয়টি দেখে ভাতিজাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায় ফারুক। তখন ফারুকের বুকে চাকু দিয়ে কোপ দেয় মামুন। এক পর্যায়ে ফারুক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মামুনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনার পর মামুনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ভাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা শাহজাহান ফকির। এ মামলায় মামুনকে কারাগারে পাঠানো হলে পরে জামিনে বের হয়ে আসেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ওসি মো. এমদাদুল হক মিয়া একমাত্র আসামি হিসেবে মামুন শিকদারের সম্পৃক্ততা পাওয়ার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ‘তদন্ত চলাকালে একমাত্র আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এ রায়ে ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’