
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
মাথাব্যথা হলো সবচেয়ে পরিচিত ব্যথার একটি। তবে সব মাথাব্যথা একই রকম হয় না। মাইগ্রেন হলো সাধারণ মাথাব্যথা যার কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীরাই বর্ণনা করতে পারবেন। অবিরাম মাথাব্যথা তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে বমি অথবা বমি বমি ভাবও থাকে। আলো আর শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকে মাইগ্রেনে আক্রান্তদের। এ ধরনের ব্যথা সাধারণত মাথার একপাশে থাকে। এই সমস্যা পুরোপুরি দূর করার কোনো উপায় যদিও নেই, তবে কিছু খাবার এই মাইগ্রেন থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে-
১. তিসি
তিসি প্রাকৃতিক প্রতিকার এবং ভেষজ চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ওমেগা-৩ এর সমৃদ্ধ উৎস যা মাইগ্রেনের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত এ ধরনের বীজ আপনার খাদ্য তালিকায় রাখলে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকা অনেকটাই সহজ হবে।
২. বাদাম
বাদামে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন মটরশুটি, বাদাম, আস্ত গমের রুটি এবং আস্ত গমের দানা ব্যথা কমানোর হরমোন নিঃসরণ করে যা মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম করতে পারে।৩. ফ্যাটি ফিশ
ফ্যাটি ফিশ বা চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-
৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস যা প্রদাহ এবং ব্যথা অনেকাংশে কমাতে পারে। প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি মাছের তেল রক্ত জমাট বাঁধা কমাতে সাহায্য করে, রক্তচাপ কমায় এবং মাইগ্রেনের অন্যান্য লক্ষণও কমাতে সহায়তা করে। ফ্যাটি ফিশের কিছু সেরা উৎস হলো স্যামন, ম্যাকেরেল, ট্রাউট এবং হেরিং।
৪. পানি
সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং শরীরের কার্যকারিতার জন্য পানি একটি অপরিহার্য উপাদান। আমাদের শরীর থেকে পানি কমে গেলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এই অবস্থার ফলে মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। প্রচুর পানি পান করলে তা মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৫. দই
আমাদের মস্তিষ্কের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। ক্যালসিয়ামের অভাব মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে। প্রতিদিন এক বাটি দই খেলে তা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। ক্যালসিয়াম গ্রহণ বৃদ্ধি করলে তা মাইগ্রেনকে দূরে রাখতে কাজ করে।