ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশ আনচেলত্তির প্রথম ব্রাজিল স্কোয়াডের ৮ নাম ফাঁস

প্রকাশিত: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক :

রিয়াল মাদ্রিদে শেষের সময় আর ব্রাজিলের জন্য অপেক্ষা। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় নাম কার্লো আনচেলত্তির পরিস্থিতি এখন এমনই। ক্লাবের বিচারে রিয়াল মাদ্রিদ সবচেয়ে সমৃদ্ধ, সেখান থেকে যাচ্ছেন জাতীয় দলের বিবেচনায় সবচেয়ে সমৃদ্ধ দল ব্রাজিলে। চলতি মাসেই আনচেলত্তি শুরু করবেন তার জাতীয় দলের দায়িত্বব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলোত্তির প্রথম মিশন ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পার করা। কনমেবল অঞ্চলে এখন তারা আছে চতুর্থ স্থানে। বাংলাদেশ সময় জুনের ৬ তারিখ ইকুয়েডরের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা হবে আনচেলত্তির। এরপর ঘরের মাঠে ম্যাচ ১১ তারিখ।

ব্রাজিলে নিজের প্রথম দুই ম্যাচের জন্য এখন থেকেই আনচেলত্তি কাজে নেমে পড়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের একাধিক গণমাধ্যম। অনেকের ভাষ্য, এরইমাঝে নাকি প্রাথমিক স্কোয়াডও নির্ধারণ করে ফেলেছেন ইতালিয়ান এই কোচ। এরইমাঝে নতুন তথ্য হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস ব্রাজিল। নিজস্ব এক সূত্রে তারা স্কোয়াডের আংশিক তালকা প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই প্রাথমিক তালিকায় ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে ছয়জন খেলোয়াড়, সান্তোসের একজন ফরোয়ার্ড, এবং সাও পাওলো থেকে একজন মিডফিল্ডার রয়েছেন। আর এই ৮ জনের মধ্যেই আছেন অস্কার। যিনি সবশেষ ব্রাজিলের হয়ে খেলেছিলেন ২০১৬ সালে। সবমিলিয়ে এই প্রাথমিক তালিকায় ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে ছয়জন খেলোয়াড়, সান্তোসের একজন ফরোয়ার্ড, এবং সাও পাওলো থেকে একজন মিডফিল্ডার রয়েছেন।

প্রাথমিক ৮ জনের মধ্যে ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে আছেন লিও অর্টিজ, দানিলো, অ্যালেক্স সান্দ্রো, ওয়েসলি, গেরসন এবং পেদ্রো। সান্তোস থেকে আছেন নেইমার এবং সাও পাওলো থেকে স্কোয়াডে আসছেন অস্কার।

এছাড়া গুঞ্জন রয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদের নিজের সাবেক শিষ্য ক্যাসেমিরোকে ব্রাজিল দলে পেতে চান কার্লো আনচেলত্তি। নিজের সুদিন অনেকটাই পেছনে ফেলে এলেও সাবেক শিষ্য ক্যাসেমিরোর ওপর আস্থা রাখতে চান আনচেলত্তি। এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদে খেলা দুই শিষ্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আর রদ্রিগো যে থাকছেন, সেটাও অনেকাটাই নিশ্চিত। উল্লেখ্য, ২০২৬ পর্যন্ত ব্রাজিলের কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে ব্রাজিল ফুটবলের সুদীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম বিদেশি কোচ হচ্ছেন আনচেলত্তি। এর আগে কখনোই কোনো বিদেশি কোচ পূর্ণ মেয়াদে ব্রাজিলের কোচ হননি।