
সানজিদা মাহবুবা:
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শারমিনের অপসারণ দাবিতে তাঁর বাসভবনে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে বাসভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে একই দাবিতে মঙ্গলবার উপাচার্যের দপ্তরসহ প্রশাসনিক সব দপ্তরে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে দায়িত্ব ছেড়েছেন দুই শিক্ষক। তারা হলেন– শের-ই-বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল আলিম বাছের ও জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার। এর আগে ২৯ এপ্রিল বিজয়-২৪ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব ছাড়েন মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদি হাসান।
জানা গেছে, বুধবার তালা ঝোলানোর সময় উপাচার্য বাসায় ছিলেন না। তিনি রাজধানীতে অবস্থান করছেন। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ করে বাসভবনে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপরও উপাচার্যকে অপসারণ করা না হলে তাঁর বাসার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ অচল করার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনত শিক্ষার্থী আজমাইন শুভ বলেন, স্বৈরাচারের দোসর অদক্ষ উপাচার্য অতীতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই দাবিগুলো পূরণ হয়নি। নানা সংকটে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না। সেদিকে উপাচার্যের নজর নেই। উল্টো স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসন করে যাচ্ছেন তিনি।
রাকিন খান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, উপাচার্যের দপ্তরসহ সব প্রশাসনিক দপ্তর ও বাসভবনে তালা লাগানো হয়েছে। নতুন উপাচার্য যোগদান করলে তখন তালা খোলা হবে।
চার দফা দাবিতে ২১ এপ্রিল থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যাওয়া রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। অন্য তিন দাবির সুরাহা না হওয়ায় সোমবার উপাচার্য অপসারণের এক দফা ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।