
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশি প্রবাসীদের বিদেশের মাটিতে ভোটার হতে চার ধরনের তথ্য দিতে হবে। এই তথ্যগুলো বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনলাইনে পূরণকৃত আবেদনপত্র (ফরম-২(ক), মেয়াদ সম্বলিত বাংলাদেশি পাসপোর্ট, অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি বাধ্যতামূলকভাবে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
এছাড়াও যেসব প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যে সব বিষয়ে তথ্য দিতে হবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিশেষ এলাকার [নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ৫৬টি উপজেলা/থানার (চট্টগ্রাম অঞ্চল) জন্য তথ্যসম্বলিত নাগরিকদের জন্য বিশেষ তথ্য ফরম পূরণ, শিক্ষা সনদ, (এসএসসি /সমমান সনদ / জেএসসি / পিএসসি) পিতা-মাতার এনআইডি, মৃত হলে মৃত্যু সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স/টি.আই.এন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), কতিপয় দেশের ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), নিকাহনামা এবং স্বামী-স্ত্রীর এনআইডি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), নাগরিকত্ব সনদ (কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান/মেয়র/সিইও কর্তৃক), ইউটিলিটি বিলের কপি (ভোটার এলাকার ঠিকানার বিদ্যুৎ/পানি/গ্যাস বিলের কপি, ভাড়াটিয়া হলে বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র ও বাড়িওয়ালার অনাপত্তিপত্র। বাধ্যতামূলক নয়, এমন তথ্যগুলো নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দিতে না পারলে প্রবাসী নাগরিকের দেশে বসবাসকারী আত্মীয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া যাবে। নয়টি দেশে অর্ধলক্ষ্যের মতো ভোটার হওয়ার আবেদন জমা পড়েছে।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, মালয়েশিয়া, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া; এই নয়টি দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসি। এক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করে দূতাবাসে এসে ফটো তোলে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে ৪০টি দেশে এই কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চায় সংস্থাটি।