
সেলিনা আক্তার:
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা এক লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকার প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সকল রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১ শতাংশ হতে কমিয়ে করে পূর্বের ন্যায় ০.৫০% নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে উৎপাদনকারীদের জন্য আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করছি। বর্তমান আইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য সামগ্রী (যেমন- ধান, চাল, গম, আটা, মাছ, মাংস, পিয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, মসুর, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভূট্টা, আটার, ময়দা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা) সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে ১% হারে কর কর্তনের বিধান আছে। পাট কাঠি, বীজ, চা পাতাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যকে এবং তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্টটিং-কে এই বিধানের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি।
তিনি আরও বলেন, উৎসে কর কর্তনের হার প্রকৃত মুনাফার উপর প্রদেয় আয়করের তুলনায় অনেক বেশি। তাই উৎসে কর কর্তনের হার যৌক্তিকীকরন করার প্রস্তাব করছি।
এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, উৎসে কর কর্তনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পিএসআর (রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র) সংগ্রহ না করলে ১০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান এবং খরচ অননুমোদিত হওয়ার বিধান অযৌক্তিক। তাই এ বিধান বাতিল করার প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সকল রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১.০০% হতে হ্রাস করে পূর্বের ন্যায় ০.৫০% নির্ধারণ করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রস্তাব করছি।