পর্তুগালে ডানপন্থিরা আবারও সরকার গঠনের পথে

প্রকাশিত: ১২:৪১ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

পর্তুগালে রোববার (১৮ মে) জাতীয় সংসদের আগাম নির্বাচনে আবারও বিজয় অর্জন করেছে ডানপন্থি জোট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এডি)। পর্তুগালের বাইরে বসবাসকারী নাগরিকদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত চারটি আসনের ফলাফল ঘোষণা বাকি থাকলেও জোটটি সর্বোচ্চ ৮৯টি আসনে জয়লাভ করে তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে জয় নিশ্চিত করেছে।

জাতীয় সংসদের ২৩০টি আসনের মধ্যে ঘোষিত ২২৬টি আসনে সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) ৫৮টি, শেগা ৫৮টি, ইনেশিয়েটিভ লিবারেল (ইএল) ৯টি, লিব্রে ৬টি, সিডিউ ৩টি, লেফট ব্লক ১টি, প্যান ১টি এবং প্রথমবারের মতো জেপিপি ১টি আসনে জয়লাভ করেছে। অপরদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুটি দলের আসন সংখ্যা সমান হওয়ার কারণে অবশিষ্ট চারটি আসনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে কোনো দল সংসদের বিরোধী দলে থাকবে।

নির্বাচনের ডানপন্থিদের উত্থান এবং বামপন্থিদের ভরাডুবি লক্ষ্য করা গেছে। সবগুলো বাম দল ডানপন্থিদের অর্ধেকের সমান ভোটও পায়নি। তাছাড়া পর্তুগালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় দল সোশ্যালিস্ট পার্টি ইতিহাসে তৃতীয় খারাপ ফলাফলের সম্মুখীন হয়েছে। বিগত নির্বাচন থেকে পেদ্রো নুনু সন্তোষের নেতৃত্বে থাকা দলটি ২০ আসন হারায়। ফলে তিনি নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন।পুরো ইউরোপে ডানপন্থি দলগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করছে। পর্তুগালও এই তালিকায় যুক্ত হলো। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতোপূর্বের বামপন্থি সরকারের অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন নীতি, আবাসন, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার পূরণে ব্যর্থতার ফলে নাগরিকরা বাম দল বিশেষ করে সোশ্যালিস্ট পার্টির ওপর আস্থা হারিয়েছেন।

তাছাড়া কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি এখনো শঙ্কার মধ্যেই রয়ে গেল। যদিও রাষ্ট্রপতি বলেছেন, যদি কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তবে তিনি নির্বাচনের পরে সবগুলো দলের সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা করার চেষ্টা করবেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো পারিবারিক ব্যবসার মাধ্যমে সুবিধা লাভের অভিযোগে সরকারের ঘোষিত আস্থা ভোটে গত মার্চে তার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে। পরে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়ে দ্রুততম সময়ে নতুন নির্বাচন আহ্বান করেন।