নবীগঞ্জে বালু উত্তোলন ঘিরে সংঘর্ষ, মামলার এজাহার নিয়ে বিভ্রান্তি

প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে এবং পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মামলায় সংঘর্ষের মূল ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর দেখানো হয়েছে, যা এলাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

সংঘর্ষে আহত যুবলীগ নেতা এমরান আলী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি আহমদ মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

তবে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনাটি মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর নতুনবস্তি মসজিদের পাশে ঘটেছে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, মূলত সংঘর্ষ হয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর ও বনগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায়। ঘটনায় আসামি পক্ষের লোকজন মামলার স্থান পরিবর্তন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদ বলেন, এক জেলায় সংঘটিত ঘটনা অন্য জেলায় দেখানোয় আমরা মর্মাহত। এটি সাজানো মামলা। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

মামলার আসামি হেলাল আহমদ বলেন, আমরা শেরপুরে কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। বাদী পক্ষের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমাদের হয়রানি করছে। আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে মামলার বাদী এমরান আলী দাবি করেছেন, তাকে প্রথমে নবীগঞ্জ থানার বনগাঁও ও পাহাড়পুর এলাকায় মারধর করা হয় এবং পরে শেরপুর এলাকায় আবারও হামলা হয়। তাই তিনি শেরপুরের ঘটনায় মামলা করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিপু কুমার দাশ বলেন, বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিবর্তন করা হয়ে থাকলে তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিপু কুমার দাশ বলেন, বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিবর্তন করা হয়ে থাকলে তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।