জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের শুনানি চলছে

প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া রাজনৈতিক নিবন্ধন পুনরুদ্ধারে দায়ের করা আপিলের শুনানি চলছে।

বুধবার (১৪ মে) সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

দলটির নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের পরবর্তী শুনানির দিন গত ৭ মে নির্ধারণ করে ১৩ মে ধার্য করেছিলেন আদালত। সোমবার শুনানি শেষ না হওয়ায় তা একদিন পিছিয়ে আজ (১৪ মে) শুনানি গ্রহণ করা হয়।

এর আগে ৭ মে জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির দ্রুত শুনানির আবেদন করেন। আপিলটি মূলত শুরু হয়েছিল গত ১২ মার্চ। তবে এরপর দীর্ঘ সময় শুনানি হয়নি। এর আগেও ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর নির্ধারিত শুনানির দিনে জামায়াতপক্ষের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় আদালত আপিলটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ করে দেন। পরে বিলম্ব মার্জনার আবেদন করলে আদালত ২২ অক্টোবর শুনানির অনুমতি দেয়।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরে ২০০৯ সালে একাধিক ইসলামি দলের নেতারা দলটির গঠনতন্ত্র সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট করেন। এরপর জামায়াত একাধিকবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট এক রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে বলেন, দলটির নিবন্ধন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত। দীর্ঘদিন এ আপিল ঝুলে থাকলেও সম্প্রতি সেটি আবার শুনানির পর্যায়ে এসেছে।

এদিকে, ২০২৪ সালের ১ আগস্ট তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে একই বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ২৮ আগস্ট নতুন সরকার ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর দলটি নিবন্ধন ফিরে পেতে ফের আইনি পদক্ষেপ নেয় এবং আপিল বিভাগে শুনানির আবেদন করে।