
নিজেস্ব প্রতিবেদক:
তীব্র গরমে অতিষ্ট মানুষ। গরমের পাশাপাশি রয়েছে ব্যস্ততা। যতই দিন যাচ্ছে, ততই মানুষের ব্যস্ততা বাড়ছে। সারাদিনের কাজের চাপ, ব্যস্ততার কারণে শরীরে ক্লান্ত লাগাটাই স্বাভাবিক। নিজেকে সুস্থ রাখতে তাই ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কিছু খাবার। এসব খাবার যেমন শরীরের ক্লান্তি দূর করে তেমনি শক্তিও জোগায়। তাই আসুন জেনে নিই গরমে ক্লান্তি দূর করতে যেসব খাবার খাবেন-
১. লেবু পানি
গরমের সময় লেবুর শরবত পান করলে তা শরীরের ক্লান্তি দূর করবে। সেক্ষেত্রে একদম সাধারণ পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে যাদের হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ নেই, তারা স্বাদের জন্য সামান্য লবণও ব্যবহার করতে পারেন।
২. ওটস
কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন বি-এর পরিমাণ ওটসের মধ্যে প্রচুর। এই দুই উপকরণ শরীরে ভরপুর এনার্জির জোগান দেয়। সকালের নাশতায় তাই ওটস রাখা জরুরি। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস অনেকক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখে। এতে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।
৩. দই
দই এ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা এনার্জির ঘাটতি পূরণ করার সবচেয়ে জরুরি উপাদান। তাই প্রতিদিন ১ কাপ দই খান। ক্লান্তি আসবে না শরীরে।
৪. চর্বিহীন প্রোটিন
চর্বিহীন প্রোটিন সুষম খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ক্লান্তির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন প্রাণিজ প্রোটিন; যেমন মুরগি, ডিম, টার্কি, চর্বিযুক্ত মাছ এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন; যেমন লেগুম, টফু, সয়া পণ্য, ডাল ইত্যাদি রাখতে হবে।
৫. বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বীজ আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেরা খাবার। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারে বাদাম ও বীজ রাখুন। এটি আপনার শরীরে স্বাস্থ্যকর পুষ্টি এবং শক্তি সরবরাহ করে ক্লান্তিভাব দূর করবে।
৬. কাঁচা আমের শরবত
কাঁচা আমের মাঝে ভিটামিন-সি থাকে। কাঁচা আমের সাথে মরিচ যুক্ত না করে যদি এটিকে শরবত হিসেবে খাওয়া যায়, তাহলে গরম কম অনুভব হতে পারে।
৭. কম মশলা জাতীয় খাবার
মশলা জাতীয় ভারি খাবার খেতে ভালো লাগলেও গরমের সময় কম মশলা জাতীয় খাবারের ওপর জোর দিতে হবে। কারণ এগুলো সহজে হজমযোগ্য।
৮. পালংশাক
এই শাকে থাকা আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের ক্লান্তি দূর করবে সহজেই। তাই খাদ্যতাীরকায় মাঝে মাঝে পালংশাকের রেসিপি রাখুন।তবে প্রতিদিন খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। এজন্য মাঝেমধ্যে খান। তবে কাঁচা না খাওয়াই ভালো।
৯. চা বা কফি
শরীরকে চাঙা করতে চা বা কফি বিশেষ সহায়ক। এটি হৃৎযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ায় এবং শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখে। তবে চা বা কফি বেশি পান করলে রাত্রে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে।
১০. কলা
কলা আপনার শরীরে শক্তি সরবরাহ করার জন্য অন্যতম একটি ভালো খাবার। এতে থাকা পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরে শক্তি সরবরাহের একটি বড় উৎস হিসেবে কাজ করবে এবং আপনাকে ক্লান্তিভাব দূর করতেও সহায়তা করবে।
১১. পাতলা স্যুপ
স্যুপকে অনেকে মজা করে রোগীর খাবার বলে থাকেন। তবে গরমের সময় একদম ‘ক্লিয়ার ভেজিটেবল’ স্যুপ (পাতলা করে সবজি স্যুপ) খেলে তা শরীরের জন্য উপকারী।