
ডেস্ক রিপোর্ট:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইন, শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলের কাছে অবস্থিত কুখ্যাত আলকাট্রাজ কারাগার পুনরায় চালু ও সম্প্রসারণের জন্য তার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (৪ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে সহিংস অপরাধীদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর প্রকাশ করেছে।
ট্রাম্প বলেছেন, আইন, শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে আলকাট্রাজ কারাগার পুনরায় চালু করা হবে। উল্লেখ্য, কারাগারটি ১৯৬৩ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং বর্তমানে এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজের কাছে অবস্থিত।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে আরও লেখেন, তিনি বিচার বিভাগ, এফবিআই এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সঙ্গে কারাগার ব্যুরোকে আলকাট্রাজ কারাগার সম্প্রসারণ ও পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, এই কারাগারে ‘আমেরিকার সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও সহিংস অপরাধীদের’ রাখা হবে।
এল সালভাদরের একটি কারাগারে অভিযুক্ত গ্যাং সদস্যদের পাঠানোর নীতি নিয়ে ট্রাম্পের আদালতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে। মার্চ মাসে তিনি ২০০ জনের বেশি ভেনেজুয়েলান সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্যকে সেখানে পাঠান। তিনি ‘দেশীয় অপরাধীদের’ বিদেশি কারাগারে পাঠানোর কথাও বলেছেন।
আলকাট্রাজ প্রথমে একটি নৌ প্রতিরক্ষা দুর্গ ছিল, যা ২০ শতকের শুরুতে সামরিক কারাগারে রূপান্তরিত হয়। ১৯৩০-এর দশকে বিচার বিভাগ এটি দখল করে ফেডারেল বন্দীদের গ্রহণ শুরু করে। কুখ্যাত গ্যাংস্টার আল কাপোন, মিকি কোহেন এবং জর্জ ‘মেশিন গান’ কেলির মতো বিখ্যাত কয়েদিদের সেখানে রাখা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে বার্ট ল্যাঙ্কাস্টারের ‘বার্ডম্যান অফ আলকাট্রাজ’ এবং ১৯৯৬ সালে শন কনারি ও নিকোলাস কেজের ‘দ্য রক’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও কারাগারটি পরিচিতি লাভ করে।
ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, কারাগারটি পরিচালনা করতে অত্যধিক ব্যয় হতো, তাই এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দ্বীপের কারণে এর খরচ অন্যান্য ফেডারেল কারাগারের তুলনায় প্রায় তিনগুণ ছিল।