
ডেস্ক রিপোর্ট:
হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম বিষয় হলো ইহরাম। নির্দিষ্ট স্থান থেকে হজ ও ওমরার নিয়তে নির্ধারিত নিয়মে ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরামের সুনির্ধারিত কিছু নিয়ম ও কাজ রয়েছে। যা যথাযথ আদায় করতে হয়।
আব্দুল্লাহ্ বিন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! মুহরিম ব্যক্তি কী ধরণের কাপড় পরিধান করবে? তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, জামা, পাগড়ি, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে মোজা পরিধান করবে। কিন্তু মোজার নিম্নাংশ থেকে কেটে ফেলতে হবে। (সহিহ বুখারী, ১৫৪৩ম সহিহ মুসলিম,১১৭৭)ইহরামের কাপড় কেনার ক্ষেত্রে ব্যক্তির শরীরের গঠন অনুযায়ী সাইজের প্রতি খেয়াাল রাখতে হবে। কারণ, ইহরামের কাপড় সবার জন্য সমান নয়। বড় ছোট মাঝারি সাইজের হয়, যদিও সাইজ লেখা থাকে না। এজন্য কাপড় কেনার আগে ভালো করে সাইজ দেখে নিতে হবে।
ইহরামের জন্য যে কাপড় পরা হয় তা নতুন ও পরিষ্কার হওয়া উত্তম। তবে পুরাতন কাপড় যদি পরিষ্কার হয় তাহলে তাও পড়া যেতে পারে। কোন সমস্যা নেই।
ইহরাম বাঁধার নিয়ম
হজ অথবা ওমরার নিয়তে তালবিয়া পড়লেই ইহরাম সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে ইহরাম বাঁধার সুন্নত পদ্ধতি হলো—
>> মোচ, নখ এবং পরিষ্কার করতে হয় শরীরের এমন লোম চেঁছে বা কেটে পরিষ্কার করা।
>> ইহরামের উদ্দেশ্যে ভালোভাবে গোসল করা। গোসল সম্ভব না হলে অজু করে নেওয়া। ঋতুমতী মহিলার জন্য ইহরামের আগে গোসল করা মুস্তাহাব।
>> পুরুষেরা দুটি নতুন বা সোদা সাদা চাদর নিবে। একটি লুঙ্গির মতো করে পরবে। অপরটি চাদর হিসাবে ব্যবহার করবে।
কালো বা অন্য কোনো শরীয়তসিদ্ধ রং এর কাপড় পরিধান করাও জায়েয। পায়ের পাতার উপরের উঁচু অংশ খোলা থাকে এমন চপ্পল বা স্যান্ডেল পরা যাবে।
>. মহিলাগণ স্বাভাবিক কাপড় পরবে। তারা ইহরাম অবস্থায় জুতা মোজা ব্যবহার করতে পারবে।
>> ইহরাম বাঁধার আগে খালি শরীরে আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মুস্তাহাব। শরীরের আতর ও ঘ্রান ইহরাম বাধার পরে বাকী থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই।
>>ইহরামের কাপড়ে আতর/সুগন্ধি লাগাবে না। কেননা ইহরামের কাপড়ে এভাবে আতর বা সুগন্ধি লাগানো নিষিদ্ধ যা ইহরামের পরও লেগে থাকে।
>> (মাকরূহ ওয়াক্ত না হলে) ইহরাম বাঁধার পূর্বে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া ভালো।