ইসরায়েল ‘ক্যান্সারের টিউমার উচ্ছেদ করা’ প্রয়োজন: খামেনি

প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

ইসরায়েলকে ‘একটি বিপজ্জনক ক্যান্সারের টিউমার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। এটিকে ‘উচ্ছেদ করা’ প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শনিবার তেহরানে এক সরকারি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বের বিষয়ে করা মন্তব্যকে ‘লজ্জা ও অসম্মানজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেন খামেনি। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প এমন ভাষায় কথা বলেছেন, যা তাঁর নিজের জন্য যেমন লজ্জার, তেমনি পুরো আমেরিকান জাতির জন্যও অপমানজনক।’

অনুষ্ঠানে খামেনি আরও বলেন, ‘ওই মন্তব্যগুলো এতই নীচু মানের ছিল, সেগুলোর জবাব দেওয়ারও দরকার নেই।’ তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাম্প শান্তির কথা বললেও ফিলিস্তিনে যুদ্ধ ও গণহত্যায় ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর আগে ট্রাম্প তাঁর মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইরানের শাসকদের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর’ বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া তিনি দাবি করেন, ইরানের ‘সবুজ পশুচারণ এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে’। ইরানিরা প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকে বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। এই বক্তব্যের পরই ইরান থেকে এমন প্রতিক্রিয়া এলো।

একই দিনে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘ট্রাম্প একদিকে শান্তির বার্তা দেন, অন্যদিকে গাজায় গণহত্যাকে সমর্থন করেন। আমরা কোনটা বিশ্বাস করব?’

এদিকে আজারবাইজানের সঙ্গে আরাস-২০২৫ নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইরান। আর্মেনিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ কারাবাখ অঞ্চলে এই মহড়া আগামী বুধবার পর্যন্ত চলবে। ইরানি জেনারেল ভালি মাদানি বলেন, ‘চলমান এই মহড়া সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ দুই দেশের মধ্যে আগে সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও বর্তমানে তা উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের বার্তা দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তেহরানে এক কূটনৈতিক সম্মেলনে তিনি বলেন, যদি ইউরোপ আন্তরিকতা ও স্বাধীন চিন্তাভাবনা দেখায়, তবে ইরান সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত। খবর আলজাজিরা ও এএফপির।