
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য এক লাখ ৯২ হাজার ৮৮৯টি পশুর চাহিদা রয়েছে ময়মনসিংহ জেলায়। কোরবানি উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার ৯৮৮টি পশু। সে হিসেবে ৫৮ হাজার ৯৯টি পশু দেশের বিভিন্ন এলাকার হাটে পাঠানো যাবে। স্থানীয় খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা এবার কোরবানির বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, ময়মনসিংহের ১৩টি উপজেলায় এবার খামারের সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৩৫টি। এসব খামারে কোরবানির জন্য গরু-ছাগল প্রস্তুত করার শেষ সময়ের কাজ চলছে। কোরবানির জন্য জেলায় এবার ৮৯ হাজার ৬৩৬টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া এক হাজার ৬৬টি মহিষ, এক লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৭টি ছাগল, পাঁচ হাজার ৬১৯টি ভেড়া প্রস্তুত করেছেন খামারিরা।
নান্দাইল উপজেলায় সর্বোচ্চ তিন হাজার ৬৮৮ জন খামারি কোরবানির পশু পালন করেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন গফরগাঁও উপজেলা, সেখানে খামারি তিন হাজার ৪৬০ জন। কোরবানির পশু প্রস্তুতের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা। এ উপজেলায় এবার ২৫ হাজার ৭৫৩টি পশু কোরবানিযোগ্য। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গফরগাঁও উপজেলা। এখানে কোরবানির পশুর সংখ্যা ২৪ হাজার ৩৩৫টি।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাস্ট অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক ফাহাদ বিন সাঈদ বলেন, প্রতিবছর কোরবানিতে ৪০-৫০টি বিভিন্ন জাতের গরু বিক্রি করে থাকেন তারা। রোগবালাই মুক্ত পরিপুষ্ট গরু বিক্রি করায় জেলা ও জেলার বাইরে তাদের গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকে বলে জানান তিনি। এবার দেশি, শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ান মিলিয়ে ৩০টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরুর প্রতিটি এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
ময়মনসিংহ সদরের পাইকার আব্দুর রশিদ জানান, এবার ছোট-বড় অনেক খামারি কোরবানিতে বিক্রির জন্য গরু প্রস্তুত করেছেন। সীমান্তে কড়া সতর্কতার জন্য এবার চোরাই পথে ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে খামারিরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা তাঁর।
ময়মনসিংহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওয়াহেদুল আলম বলেন, গতবারের চেয়ে এবার কোরবানির পশুর চাহিদা বেশি। সে অনুযায়ী উৎপাদনও বৃদ্ধি করা হয়েছে। নিরাপদ গবাদি পশুর মাংস উৎপাদনে পশু হৃষ্টপুষ্টকরণের ব্যাপারে খামারিদের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে তাদের।