
গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির ঠিক আগ মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ছে গরুর লাম্পি ভাইরাস। এই রোগে বিভিন্ন খামারে গরু মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে চিকিৎসা পাওয়া গেলেও বরাদ্দ না থাকার কারণে কোনো ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী খামারিরা।
এতে অর্থাভাবে অনেকেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
স্থানীয় খামারি ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগ দেখা দিয়েছে। এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিনিয়ত এই রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে অনেক গরুর মৃত্যুও হয়েছে। ঠিক কোরবানের আগ মুহূর্তে এমন ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত খামারিরা। এই রোগের শুরুতে গরুর জ্বর-ব্যাথা, খাবার গ্রহণে অরুচি হয়। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুটি বা ফোস্কা ওঠে। এক পর্যায়ে ফোস্কা ফেটে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে অনেক সময় গরু মারা যায়।
দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, খামারিরা স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করলেও সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় আনেক গরুর মৃত্যু ঘটছে। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পরামর্শ ও চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহ করলে খামারিরা অনেক উপকৃত হতো। কারণ অনেক খামারি আছেন যারা অর্থাভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আদুস সামাদ বলেন,
গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এ রোগে গরুর মৃত্যুর হার ৪ শতাংশ। রক্ত চোষা মাইট, মশা ও মাছির মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়ায়। তাই এ ব্যপারে গরুর মলিক ও খামারিদের পরামর্শ ও আক্রান্ত গরুকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে ।
এছাড়াও রোগ আক্রান্ত পশুকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।