৭৮ তম কান চলচ্চিত্র উৎসব

রঙিন হয়ে উঠেছে সাগরপাড়ের শহর

প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

নির্মল নীল সমুদ্র আর রূপালি বালুকাবেলায় গড়া ফ্রান্সের কান শহরে আজ পর্দা উঠছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন — কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮ আসরের। তারকাময় লালগালিচা, আন্তর্জাতিক সিনেমার ঝলক, আর নতুন প্রতিভা আবিষ্কারের প্রতীক্ষায় মুখর হয়ে উঠেছে উৎসবের মূল প্রান্তর । শুধু গ্ল্যামার নয়, শিল্প ও সমাজে নানা বিধ বিষয় নিয়েও যেসব চলচ্চিত্র কথা বলে, তাদের জন্যও এই উৎসব হয়ে উঠেছে এক অনন্য মঞ্চ।

৭৮তম এই আসরটিও তার ব্যতিক্রম নয়- বরং প্রত্যাশার পাল্লা আরও ভারী, কারণ এবার উপস্থিত থাকছেন টম ক্রুজ, রবার্ট ডি নিরো, ওয়েস অ্যান্ডারসনের মতো আইকনিক মুখ, আর প্রতিযোগিতায় রয়েছে বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত অসাধারণ ২২টি সিনেমা। কানে তাই চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এই মে মাস যেন হয়ে উঠেছে এক রূপকথার মাস, যেখানে বাস্তব আর কল্পনার মাঝে চলাফেরা করে নিঃশব্দে পৃথিবী বদলে দেওয়া গল্পগুলো।

এই উৎসবের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে থাকছেন অভিনেতা লরাঁ লাফিত, যিনি ২০১৬ সালেও এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবারের উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে ২২টি চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান পরিচালক ওয়েস অ্যান্ডারসনের “ঞযব চযড়বহরপরধহ ঝপযবসব”, রিচার্ড লিংকলেটারের “ঘড়াঁবষষব ঠধমঁব”, মিশরের তারিক সালেহর “খবং অরমষবং ফব ষধ জল্কঢ়ঁনষরয়ঁব”, এবং ফরাসি পরিচালক হাফসিয়া হারজি ও জুলিয়া দুকুরনোর চলচ্চিত্র।

উৎসবের উদ্বোধনী দিনে, ১৩ মে, চার্লি চ্যাপলিনের ১৯২৫ সালের ক্লাসিক “ঞযব এড়ষফ জঁংয” এর ৪কে রেস্টোরেশন সংস্করণ প্রদর্শিত হবে, যা এই চলচ্চিত্রের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন করবে। এছাড়া, রবার্ট ডি নিরোকে তার চলচ্চিত্র জীবনের সম্মানে একটি সম্মানসূচক পালম দ’অর প্রদান করা হবে। ডি নিরো এর আগে “ঞধীর উৎরাবৎ” (১৯৭৬) এবং “গরংংরড়হ” (১৯৮৬) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য কান উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছেন।

উৎসবের বিচারক মণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে থাকছেন ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ, যিনি ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো কান উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন।

উৎসবে আরও প্রদর্শিত হবে টম ক্রুজের “গরংংরড়হ: ওসঢ়ড়ংংরনষব – ঞযব ঋরহধষ জবপশড়হরহম”, স্পাইক লির “ঐরমযবংঃ ২ খড়বিংঃ”, এবং আমেলি বোনিনের “চধৎঃরৎ ঁহ লড়ঁৎ”, যা উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া, স্কারলেট জোহানসন এবং ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট তাদের পরিচালিত চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসবে অংশ নিচ্ছেন।

এই বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসব বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে, যার মধ্যে রয়েছে গাজা ও ইউক্রেন সংকট সম্পর্কিত ডকুমেন্টারি।