
সানজিদা মাহবুবা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সনদ উত্তোলন করতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতা আটক হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকা থেকে আড্ডারত অবস্থায় শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। পরে তাকে ক্যাম্পাসস্থ থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটককৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম সায়মুম খান। সায়মুম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের উপর নানারকম হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ গতবছরের জুলাই আন্দোলনের আগে ৫ জুন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের খাইরুল ইসলাম সৌরভকে বেয়াদবি করার অভিযোগ এনে শহীদ আনাস হলের (পূর্বের শেখ রাসেল হল) ছাদে ডেকে নিয়ে মারধর ও ছাদ থেকে ফেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তখন এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিচার চেয়ে তৎকালীন প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। তবে তখন ছাত্রলীগ নেতাদের চাপে বিষয়টির সুরাহা হয়নি বলে দাবি ভুক্তভোগীর।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগের ওই নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে থাকার খবর পেয়ে ভুক্তভোগী সৌরভসহ অন্য শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাকে আটক করে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দিলে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে ক্যাম্পাসস্থ থানায় সোপর্দ করে।
ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম সৌরভ বলেন, ‘ওর গার্লফ্রেন্ড আমার বিভাগে পড়ে, আমার বান্ধবী। তার সাথে একদিন আমি ঘুরেছিলাম। যে কারণে সে আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে এবং ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। সেদিন আমি অনেক কষ্টে ওখান থেকে পালিয়ে আসি। দৌড়ে পালিয়ে আসার সময় সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়িতে ফেলে দেয়। এতে আমি গুরুতর আহত হই।’
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সায়মুম বলেন, সনদ তুলতে ক্যাম্পাসে এসেছি। মেইন গেইটের বাইরে বসে ছিলাম, ক্যাম্পাসের ভিতরেও প্রবেশ করিনি। হঠাৎ করে এমন আক্রমণ। কেন তার এমন করেছে জানি না।
এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ওই ছেলেকে থানায় সোপর্দ করে। জানতে পেরেছি সে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা। ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে জড়িত দেখিয়ে তাকে আজ কোর্টে চালান করা হবে।’