পটুয়াখালীতে শহীদকন্যাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী দুমকীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এক শহীদের মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ইমরান মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল এয়ারপোর্ট (বিমানবন্দর) থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমরান মুন্সি ধর্ষণ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এবং মেয়েটির কথিত প্রেমিক। তারা দু’জনই দুমকী সরকারি জনতা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের কলেজ পড়ুয়া ওই মেয়ে ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার নলদোয়ানী গ্রামে নিজ বাড়িতে বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি যাবার পথে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছিল। এ ঘটনার পর মেয়েটি বাদী হয়ে সাকিব মুন্সি ও রিফাত মুন্সিকে আসামি করে দুমকী থানায় মামলা করেন। পরে ২৬ এপ্রিল ঢাকার মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। পরের দিন ২৭ এপ্রিল রাতে দুমকী উপজেলার নলদোয়ানী গ্রামে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বুধবার আদালতে সাকিব মুন্সি, রিফাত মুন্সি ও ইমরান মুন্সিকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হন মেয়েটির বাবা। ১১ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
দুমকী থানার ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ধর্ষণ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।