আলুর বীজের দাম পুনর্র্নিধারণের দাবি

প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আলু চাষিরা আলুর বীজের মূল্য কেজিপ্রতি ২ টাকা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- বিএডিসি আলুবীজ চুক্তিবদ্ধ চাষি ফোরামের (জামালপুর) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন মিলন, ঠাকুরগাঁও জোনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ রানা, টাঙ্গাইল জোনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সামছুদ্দোহা তাপস প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আমরা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) থেকে ৪৮ থেকে ৫৪ টাকা দরে বীজ ক্রয় করেছিলাম। বীজ থেকে উৎপাদিত আলুর দর পেয়েছি ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা কেজি। অথচ বাইরে এই আলু বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। কিন্তু আমরা বিএডিসির সাথে চুক্তিবদ্ধ বলে বাইরে কোনো আলু বিক্রি করিনি। যার ফলশ্রুতিতে বিএডিসি ব্যাপক লাভবান হয়েছে।

তারা আরও বলেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিএডিসি ভিত্তি বীজের দাম নিয়েছে ৬০/৬২ টাকা দরে। এত উচ্চমূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক, ব্যবহার করে বীজের উৎপাদন খরচ বেড়ে অঞ্চলভেদে দাঁড়িয়েছে ৩০/৩৫ টাকায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কিছু কিছু জোন থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে উৎপাদন খরচ দেখিয়েছে, তা চাষিদের উৎপাদিত খরচের সাথে কোনো সামঞ্জস্য নেই। এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ উৎপাদন খরচ এবং খাবার আলুর নিম্নমুখী দর দেখে এ অর্থবছরে মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ২৬/২৮ টাকা। সে বছর ৪৮/৫৪ টাকা দরে ভিত্তি বীজ কিনে দর পেয়েছি প্রতি কেজি ৩৫/৩৭ টাকা। আর এ বছর ৬০/৬২ টাকা দরে ভিত্তি বীজ কিনে দর পেলাম ২৬/২৮ টাকা। এতে চুক্তিবদ্ধ চাষিগণ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এমতাবস্থায়, চুক্তিবদ্ধ চাষিদের উৎপাদন খরচের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলু বীজের মূল্য গত অর্থবছরের চাইতে প্রতি কেজিতে দুই টাকা বেশি নির্ধারণ করার দাবি জানাচ্ছি।