আয়ুশ-বৈভবরা উড়ছেন, তৈরি হচ্ছেন বাংলাদেশি পেসাররাও

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক :

আইপিএলে বর্তমান সময়টা যেন বৈভব সূর্যবংশীর। দুর্দান্ত খেলেছেন গত একটা বছর। তার পুরস্কার হিসেবে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই পেয়ে গিয়েছেন আইপিএলে খেলার সুযোগ। আর সেটাকে দুহাতে লুফে নিয়েছেন বৈভব। লখনৌর বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে তো রীতিমত ক্রিকেট দুনিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছেন।

বৈভব এখনো অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য। তারই ওপেনিং পার্টনার আয়ুশ মাহাত্রে। ব্যাট হাতে তিনিও যে কতটা দক্ষ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। চেন্নাইয়ের হয়ে দলে ডাক পেয়েই নিজেকে মেলে ধরেছেন। তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে গতকালের ৪৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংসটাই যেন আয়ুশের সক্ষমতার বড় প্রমাণ।

আলো ছড়ানো এই দুই তরুণকে নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় এখন বেশ শোরগোল। তবে বৈভব আর আয়ুশ যখন আলো ছড়াচ্ছেন তখন পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের পেসাররাও। আল ফাহাদ এবং মারুফ মৃধারাও তৈরি হচ্ছেন নিজেদের বড় তারকা হিসেবে মেলে ধরতে। ২০২৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে মারুফ আর ফাহাদের জুটিই থামিয়ে দিয়েছিল আয়ুশ-বৈভবকে। দুবাইয়ের ফাইনালে ভারতের সামনে ছিল ১৯৯ রানের টার্গেট। লো-স্কোরিং ফাইনালে বৈভব সূর্যবংশীকে ফিরিয়েছিলেন মারুফ মৃধা। আর আয়ুশকে ইনিংসের একেবারে শুরুতেই বোল্ড করেছিলেন আল ফাহাদ।

আয়ুশ যখন আইপিএলে ব্যস্ত, তখন আল ফাহাদ আছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে। সিরিজে এরইমাঝে একবার ফাইফারসহ ৬ উইকেট নিয়েছেন। সবমিলিয়ে ৪ ম্যাচেই তার শিকার ১২ উইকেট। ডিপিএলে শাইনপুকুরের হয়ে খুব ভাল সময় পার না করলেও নিজেকে লঙ্কা সিরিজ দিয়ে ঠিকই চেনাচ্ছেন তিনি।

পিছিয়ে নেই মারুফ মৃধাও। দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে এবারের বিপিএলে ডাক পেয়েছিলেন চিটাগাং কিংসের হয়ে। এক ম্যাচেই খেলেছেন। ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করেছেন। তবে ফরচুন বরিশালের মতো শক্ত দলের বিপক্ষে তার ওই পারফরম্যান্সই জানান দেয় বড় কিছুর জন্য তৈরি তিনি। খেলেছেন ডিপিএলে। ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে মৌসুম একেবারেই মন্দ যায়নি তার।

ভারতের বিপক্ষে ওই ফাইনালে তিন উইকেট ছিল ইকবাল হোসেন ইমনের। বাংলাদেশ ক্রিকেটে আগামীর পেস তারকাদের মধ্যে থাকতে পারে তার নামটাও। বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে এক ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছেন। তাতে ছিল ২ উইকেট। চলমান সিরিজে শ্রীলঙ্কায় ৩ ম্যাচেই নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ভারতে বৈভব সূর্যবংশী কিংবা আয়ুশ মাহাত্রেরা যখন আলো ছড়াচ্ছেন, তখন সমসাময়িক তিন বাংলাদেশি পেসারও খুব একটা পিছিয়ে নেই। পাদপ্রদীপের আলো থেকে খানিক দূরে থেকেই নিজেদের তারা প্রস্তুত করছেন আগামীর জন্য। তবে প্রতিভা হারিয়ে ফেলার উজ্জ্বল নিদর্শন বাংলাদেশ। ফাহাদ, মারুফ কিংবা ইমনরা যেন সেই আক্ষেপে নাম না লেখান– সেটার দায়িত্ব নিতে হবে বিসিবি আর ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাইকে।