
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
আপনি কি কখনও জুসের গাড়ি দেখেছেন এবং গোপনে আখের রস বিক্রি করার ইচ্ছা পোষণ করেছেন? যদি হ্যাঁ, তাহলে আপনি অবশ্যই গানের রসের ভক্ত। আর সত্যি বলতে, কে নন? এই লম্বা, ফেনাযুক্ত গ্রীষ্মকালীন পানীয়, যা প্রায়শই রাস্তার ধারে বরফের টুকরো, লেবু এবং কালা নমক দিয়ে পরিবেশন করা হয়, তা শৈশবের স্মৃতিগুলিকে ফিরিয়ে আনে। স্কুলের গরমের দুপুর হোক বা ঘর্মাক্ত গ্রীষ্মের হাঁটা, আখের রস ছিল এমন একটি জিনিস যা তাৎক্ষণিক জাদুর মতো মনে হয়েছিল। গরমের সময়ে এক গ্লাস আখের রস আপনাকে শুধু তৃপ্তিই দেয় না, বরং এটি সতেজতা ও শক্তিও এনে দেয়। কিন্তু গ্লাসের পর গ্লাস পান করা যতই লোভনীয় হোক না কেন, এটি কি আসলে ভালো? হ্যাঁ, আখের রসের কিছু সুবিধা আছে, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি অতিরিক্ত খেলে তা শরীরের জন্য উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। তবে প্রথমে চলুন জেনে নেওয়া যাক, আখের রস আসলে শরীরের কী উপকার করে-
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
আখ এবং এর থেকে তৈরি যেকোনো খাবারই নানাভাবে উপকারিতা দিয়ে থাকে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং ক্ষুদ্র কিন্তু শক্তিশালী খনিজ পদার্থে ভরপুর। তাই আখের রস খেলে তা সতেজ ও সজীব থাকতে সাহায্য করে।
২. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে
আখের রসে আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড এবং অঐঅ থাকে, যা ত্বককে মসৃণ করতে এবং ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে এবং চুল সুস্থ রাখে।
৩. উদ্যমী রাখে
আপনি কি জানেন যে আখের রস একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক? এটি পেট ফাঁপা এবং ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে, যার কারণে এটি পান করার পরে আপনি সতেজ এবং হালকা বোধ করেন।
৪. হাইড্রেশনে সাহায্য করে
এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এবং তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন গরমের দিনে কেবল সাধারণ পানি খাওয়ার ইচ্ছা থাকে না, বরং সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে মন চায়।
গরমে কি আপনার খুব বেশি আখের রস পান করা উচিত?
অবশ্যই না। অতিরিক্ত আখের রস পান করলে ক্ষতি হতে পারে। এক গ্লাস আখের রসে প্রায় ৫ থেকে ৭ চা চামচ চিনি থাকতে পারে। এটা অনেক। আর সত্যি বলতে, এটি প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি যোগ করে, কিন্তু হজম এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরের প্রয়োজনীয় ফাইবার সরবরাহ করে না।
আখের রস কি আপনার লিভারকে ডিটক্স করে?
না, এটি এভাবে কাজ করে না। আখের রস স্বাস্থ্যকর হতে পারে, কিন্তু এটি চিনি এবং ক্যালোরিতে পূর্ণ, যা লিভারকে মোটেও সাহায্য করে না। আরও ভালো বিকল্প? শাক-সবজি খাওয়া এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করা বাড়াতে হবে। এটিই আসলে আপনার লিভার, কিডনি এবং অগ্ন্যাশয়কে ভালো রাখতে কাজ করবে। আখের রস মজাদার এবং সুস্বাদু, তবে অল্প পরিমাণে পান করাই উত্তম। যতই খেতে ইচ্ছা করুক, দিনে এক গ্লাসের বেশি নয়।