
ডেস্ক রিপোর্ট:
কানাডার জাতীয় নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। এই নির্বাচনে মূল বিষয় ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার বিরুদ্ধে শুল্ক বৃদ্ধি এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকি। এক ধরনের পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন দেশটির রাজনৈতিক চিত্রে পরিবর্তন আনল। সোমবার (২৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এই ভোটের ফলাফল ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে।
এ নির্বাচনে, লিবারেল পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে। সিবিসি ও সিটিভি নিউজ জানায়, প্রাথমিক ফলাফলে লিবারেল পার্টি পার্লামেন্টের ৩৪৩ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে, যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর পদে মার্ক কার্নি থাকছেন। কার্নি, যিনি একজন অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ, নির্বাচনে নিজের অবস্থানকে ট্রাম্পের চাপ মোকাবেলা করা নেতা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তবে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলে তাকে ছোট দলের সহায়তায় জোট সরকার গঠন করতে হতে পারে।
নির্বাচনের সময় প্রধান ইস্যু ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের “৫১তম অঙ্গরাজ্য” বানানোর হুমকি। এই বিষয়গুলি কানাডার রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন এনে দেয়। প্রথমে, কনজারভেটিভরা জয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল, কিন্তু ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধি এবং কঠোর নীতি দেশটির নির্বাচনী পরিবেশকে বদলে দেয় এবং লিবারেল পার্টির ভোট বাড়াতে সহায়তা করে।
জনমত জরিপেও লিবারেল পার্টি কনজারভেটিভদের তুলনায় এগিয়ে ছিল। ইপসোস এবং অ্যাংগাস রেইডের জরিপে লিবারেলদের ৪২% এবং ৪৪% সমর্থন পেয়েছিল, যেখানে কনজারভেটিভদের সমর্থন ছিল যথাক্রমে ৩৮% ও ৪০%। এই ফলাফল কানাডার রাজনীতিতে নতুন দিশা দেখাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে গড়ে উঠবে তা দেখার বিষয় হয়ে উঠেছে।