ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক নিষিদ্ধ

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক :

একের পর এক বাড়ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, তেমনি সুযোগ তৈরি হচ্ছে ‍অসাধু চক্রেরও। তবে ম্যাচে ফল পরিবর্তনকারী সন্দেহজনক পারফরম্যান্স কিংবা ফিক্সিংয়ের মতো ঘটনা প্রতিরোধেও রয়েছে কঠোর আইন। তেমনই একটি আইনে নিষিদ্ধ হয়েছেন ভারতীয় টুর্নামেন্ট মুম্বাই টি২০ লিগের একটি দলের মালিক। দুই ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় গুরমিত সিং ভামরাহকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।নিষিদ্ধ গুরমিত মুম্বাই টি২০ লিগের সুপারসনিক ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক। ২০১৯ সালে মুম্বাইয়ে ওই টুর্নামেন্ট চলাকালে তিনি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন দুই ক্রিকেটার ধাওয়াল কুলকার্নি ও ভাবিন ঠক্করকে। পরে গুরমিতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে নিষিদ্ধ করেছেন বিসিসিআইয়ের ন্যায়পাল ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণ মিশ্র। যদিও তার আদেশনামায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ উল্লেখ করা হয়নি।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আদেশের কপিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ উল্লেখ না থাকলেও, সাধারণত এসব ক্ষেত্রে পাঁচ বছর কিংবা আজীবন নিষিদ্ধের কথা বলা আছে বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি-করাপশন নীতিমালায়। নিষেধাজ্ঞার আদেশনামায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ গুরমিতের পক্ষ থেকে সোনু ভাসান নামের একজন ভাবিন ঠাক্করকে ফিক্সিং করার প্রস্তাব দেন।

আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে– উভয়পক্ষের কথোপথন নথিতে দেখা যায়, সোনু ভাসান টাকার প্রস্তাব দিচ্ছেন এবং আরেকটি বার্তায় অভিযুক্তের পক্ষ থেকে ভাবিন ঠাক্কর উপকৃত হবেন বলে জানানো হয়েছে। পুরো বিষয়টিতে নজর দিলেই বোঝা যায় আরেকজনের প্রতিনিধি হয়ে তিনি এসব প্রস্তাব দিয়েছেন। যেখানে সোনু ভাসান ভাবিন ঠাক্করকে বলেছেন এ বিষয়ে ঠাক্করের যেকোনো চাহিদা পূরণ করা হবে।অবশ্য গুরমিত এখন আর মুম্বাই টি২০ লিগের সঙ্গে যুক্ত নন। টুর্নামেন্টটিও করোনার জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, যা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সময় গুরমিতের বিরুদ্ধে ফিক্সিং প্রস্তাব দেওয়ার পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ বোর্ডের অ্যান্টি-করাপশন বিভাগের হাতে তুলে দেন কুলকার্নি ও ঠাক্কর। কুলকার্নি গত বছর মার্চে রঞ্জি ট্রফি শেষেই পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এর আগে ভারতের হয়ে তিনি ১২টি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সবমিলিয়ে কুলকার্নির ঝুলিতে ২২টি আন্তর্জাতিক উইকেট রয়েছে।

এ ছাড়া আইপিএল খেলারও বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে এই পেসারের। কুলকার্নি ৯২টি আইপিএল ম্যাচে ৮৬টি উইকেট নিয়েছেন। খেলেছেন গুজরাট লায়ন্স, রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে।