৮ শিক্ষার্থী ও ৩ শিক্ষক নিয়ে চলছে বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৫

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী ও ৩ জন শিক্ষক নিয়ে চলছে পিরোজপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের জব্দকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে দেখা গেছে এমন চিত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীর সংখ্যায় এমন ভাটার টান নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

‎সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে মাত্র ৮ জন আর তাদের পাঠদানের জন্য বিদ্যালয়টিতে রয়েছেন ৩ জন শিক্ষক। বিদ্যালয়ের কাগজে-কলমে দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই, তৃতীয় শ্রেণিতে দুইজন ছাত্রী, চতুর্থ শ্রেণিতে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রী এবং পঞ্চম শ্রেণিতে দুইজন ছাত্র ও দুইজন ছাত্রী সব মিলিয়ে বিদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ৮ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ ও মাদরাসামুখী অভিভাবকদের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

‎নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আগ্রহ কম। কারণ তারা তো মাস গেলে বেতন পাচ্ছে। বিদ্যালয়ের আশেপাশে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না আর মাদরাসাগুলোর শিক্ষকরা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাদরাসায় ভর্তি করার জন্য তাগিদ দিচ্ছে। এসব কারণেই এ স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী নাই।‎এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সিকদার বলেন, ভৌগলিক অবস্থা ও যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ থাকার কারণে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রছাত্রী কমে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার মান বজায় রেখে এ সমস্যার সমাধান করতে।

‎স্থানীয় ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সাইদ বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করার পাশাপাশি বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা আন্তরিক হলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

‎উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। যে বিদ্যালয়ে ২০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের নিকটতম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমন্বয় করা হবে। এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

‎কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।