হজের কোনো আমল আগে-পরে হলে যা করবেন

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

হজের মূল কার্যক্রম পালন করতে হয় ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। ৮ জিলহজ মিনায় অবস্থান, ৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে অবস্থান। এদিন রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করতে হয়।

এরপর ১০ জিলহজ জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়। তারপর কোরবানি করতে হয় এবং মাথা মুণ্ডন করতে হয়। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ বাকি জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারতের মাধ্যমে হজের কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।

হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ি তাওয়াফ করা আবশ্যক। জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ি তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।

হজের এই কার্যক্রমগুল মধ্যে কোনোটার ক্ষেত্রে আগে পরে হয়ে গেলে একজন হাজির করণীয়? এক্ষেত্রে ফেকাহবিদদের মতামত হলো—

হজের কোনো বিধান আগে-পরে হয়ে গেলে দম আবশ্যক হয়ে যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ : ‌مَنْ ‌قَدَّمَ ‌شَيْئًا ‌مِنْ ‌حَجِّهِ ‌أَوْ ‌أَخَّرَهُ، فَلْيُهْرِقْ لِذَلِكَ دَمًا

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার হজের কোনো বিধানকে আগ-পিছ করে তাহলে সে যেন একটি দম দিয়ে দেয়। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদিস: ১৪৯৫৮) বাদায়েউস সানায়ে ২/১৫৮

দম কী?

ইহরাম বাঁধার পর হজের বিধান পালনে বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে যে জরিমানা আবশ্যক হয় তাকে দম বলা হয়। দম বলতে সাধারণভাবে একটি পুরো বকরি, ভেড়া , দুম্বা কিংবা গরু, মহিষ ও উটের এক সপ্তমাংশ বোঝায়।

উট, গরু ও ছাগল; এই তিন শ্রেণির প্রাণীর যেকোনো একটি দিয়েই দম আদায় করা যায়। তবে সর্বোত্তম হলো দমের জন্য উট নির্বাচন করা। তারপর গরু, এরপর ছাগল।