সিরাজগঞ্জে ওসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন, হামলায় পুলিশসহ আহত ৫

প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৫

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে একটি মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মেঘাই পুরাতন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগে স্থানীয়দের মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে এ হামলা করা হয়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছে। হামলা চলাকালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরেজমিনে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৪ ডিসেম্বর কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলুর সিংড়াবাড়ি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে বাবলুর স্ত্রী-পুত্রসহ ৬ জন আহত হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা পুত্র মেহেদী হাসান সুমন বাদী হয়ে কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুলসহ ২৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে, আসাদুলও হামলা ভাংচুরের অভিযোগ এনে গত ১৬ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা বাবলুর চার পুত্রসহ ১৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান বাবলু। এমতাবস্থায় গত ৫ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদুলের দায়ের করা মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হন বিএনপি নেতা বাবলুর কর্মী সমর্থক ও এলাকাবাসী।

ওসির পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের দাবিতে শনিবার (৮ মার্চ) সকালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মেঘাই বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনের খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আসাদুলের লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় এক পুলিশসহ ৫ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বাবলু বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে ওসি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে আসছে। আমার বাড়িতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় আমার ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এই মামলার খবর পেয়ে আসাদুল দুই দিন পর কাউন্টার মামলা দায়ের করে। অথচ আমার মামলার অভিযোগ পত্র না দিয়ে আগে আসাদুলের মামলার অভিযোগ পত্র দিয়েছে। বিষয়টি কাজীপুরের সবাই জানে। এই পক্ষপাত আচরণের কারণে এলাকাবাসী ওসির অপসারণের জন্য মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয়। এমন সময় লাঠি সোটা এনে হামলা করা হয়। এতে আমার ৪-৫ জন ছেলে আহত হয়েছে।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, পক্ষপাতের অভিযোগ সঠিক না। দুজন অফিসারকে দুটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসাদুলের মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। বিএনপি নেতা বাবলুর ছেলের মামলাও তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। কোনটিই আদালতে পাঠনো হয়নি। এখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।