
ক্রীড়া ডেস্ক:
শেষ তিন বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ছয় রান। এর একটি ছিল ফ্রি হিট। তখনও চেন্নাই সুপার কিংস জয়ের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু ইয়াশ দায়ালের নিখুঁত বোলিংয়ে সেই সুযোগও হাতছাড়া হলো। শেষ পর্যন্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে মাত্র দুই রানে হেরে গেল চেন্নাই। ম্যাচ শেষে নিজের ব্যর্থতাকেই সামনে এনে দোষ নিলেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি।
শনিবার (৩ মে) বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ভিরাট কোহলি ও জ্যাকব বেথেলের অর্ধশতক আর শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ডের বিধ্বংসী ইনিংসে ২০ ওভারে ২১৩ রানের বিশাল স্কোর তোলে বেঙ্গালুরু। মাত্র ১৪ বলে ৫৩ রান করেন শেফার্ড। শেষ দুই ওভারেই আসে ৫৪ রান, যেখানে একাই শেফার্ডের অবদান ৫২ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের হয়ে দারুণ সূচনা করেন আয়ুশ মাত্র। তিনি ৪৮ বলে করেন ৯৪ রান। জাদেজার সঙ্গে তার ৬৪ বলে ১১৪ রানের জুটি দলের জয়ের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছিল। কিন্তু লুঙ্গি এনগিডির এক ওভারে আয়ুশ ও ব্রেভিস ফিরে গেলে চাপে পড়ে চেন্নাই। তখন ব্যাটিংয়ে নামেন ধোনি।
তখনও ২১ বলে দরকার ছিল ৪২ রান। জাদেজা এক ছক্কা মারেন ওই ওভারে। পরে ধোনিও একটি ছক্কা হাঁকান, তবে নিজের ৮ বলের ইনিংসে করতে পারেন কেবল ১২ রান। শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে আসে মাত্র দুই রান, তৃতীয় বলে ধোনি এলবিডব্লিউ হয়ে যান। এরপর ফ্রি হিটে শিভাম দুবে ছক্কা মারলেও পরের তিন বলে নিতে পারেন কেবল তিন রান। জয় হাতছাড়া হয় মাত্র দুই রানের ব্যবধানে।
ম্যাচ শেষে ধোনি বলেন, ‘যখন আমি ব্যাট করতে এসেছিলাম, তখন বল ও রান হিসেব করে অন্তত দুই-তিনটি বল কাজে লাগানো উচিত ছিল। সেটা হলে চাপ অনেকটা কমে যেত। সেই ব্যর্থতার দায় আমি নিচ্ছি।’
বল হাতে ব্যর্থতা নিয়েও বলেন চেন্নাই অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘শেষ দিকের ওভারগুলোয় আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, সেটা ঠিক হয়নি। ইয়র্কার ঠিকঠাক অনুশীলন করতে হবে। চেষ্টা করেও নিখুঁত ইয়র্কার না হলে অন্তত লো ফুল টস দিতে হবে, কারণ এটায় শট খেলা কঠিন।’
চেন্নাইয়ের ১৯তম ওভারে খালিল আহমেদ দেন ৩৩ রান, আর শেষ ওভারে পাথিরানা দেন ২১। ধোনি বলেন, ‘পাথিরানা যেমন গতি তোলেন, সেখানে ইয়র্কার না হলে বাউন্সার দিতে হবে, যেন ব্যাটারকে ভাবনায় ফেলা যায়।’
এই হারে চেন্নাইয়ের প্লে-অফে ওঠার স্বপ্নও কার্যত শেষ হয়ে গেছে। লিগ পর্বে এখন তাদের হাতে রয়েছে আর মাত্র তিনটি ম্যাচ, তবে পয়েন্ট তালিকায় তারা পড়ে আছে একেবারে নিচে।