রোগী দেখা নিয়ে চিকিৎসক লাঞ্ছিত, সেই কর্মচারীকে অব্যাহতি
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি

সাজ্জাদ হোসেন :
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) অর্থোপেডিক্স বিভাগে এক চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারীর নাম মো. ইকবাল, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতাল পরিচালক অফিসে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার (১৭ মে) বিএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গত ১৭ মে দুপুরে দায়িত্ব পালনরত অর্থোপেডিক্স বিভাগের এক চিকিৎসকের সঙ্গে অসদাচরণ এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মচারী ইকবালকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ১৩(২) ধারা অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
আদেশে আরো বলা হয়, ঘটনাটির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্তের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। ইতোমধ্যে ঘটনাটি তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ মে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে বিএমইউর অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন মো. ইকবাল। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. আহসান হাবিব তাকে নিয়ম অনুযায়ী আগে টিকিট কাটার অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ইকবাল এবং তার সঙ্গে আসা কয়েকজন লোক। অভিযোগ রয়েছে, তারা চিকিৎসককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং হত্যার হুমকি দেন।
হঠাৎ এ ঘটনায় চিকিৎসক হতচকিত হয়ে পড়েন এবং নার্সদের সহযোগিতায় অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) আশ্রয় নেন। চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত আনসার সদস্যসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীরা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।
এবিষয়ে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ জানান, চিকিৎসকের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।