রাষ্ট্র সংস্কারে ১০ দাবি ঘোষণা জাতীয় সংস্কার জোটের

প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

রাষ্ট্র সংস্কারে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে জাতীয় সংস্কার জোট। শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জোটের ঘোষণা করেন জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত মেজর আমিন আহমেদ আফসারী।

দুটি জোট ও আটটি রাজনৈতিক দল নিয়ে এ জোটের যাত্রা শুরু হয়। এগুলো হলো, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, নতুন ধারা জনতার পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, গণমুক্তি জোট, বাংলাদেশ পল্লী পার্টি, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি।

জোটের আহ্বায়ক ১০ দফা ঘোষণার মধ্য দিয়ে তাদের আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংস্কার প্রস্তাবগুলো হলো,
১. সংস্কার শুরু করতে হবে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের সংস্কারের মধ্য দিয়ে। স্পিরিট অযোগ্য বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উদ্যোমী সংগ্রামী এবং জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের চেতনা ধারণকারী ব্যক্তিদের নিয়ে সরকার পুনর্গঠন করতে হবে।
২. কালক্ষেপণ না করে আগামী ৫ আগস্ট বিজয়ের বর্ষপূর্তির পূর্বেই সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. এই অন্তর্র্বতী সরকার নিরপেক্ষ নয়, তারা জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের সরকার এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার সরকার বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে।
৪. অনতিবিলম্বে সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।
৫. আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও পুনর্গঠন নিশ্চিত করতে হবে।
৬. জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আহত সংগ্রামী বীরদের চিকিৎসা, নিরপত্তাসহ সকল বিষয়ে পূর্ণ দৃশ্যত সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৭. শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে, শিক্ষা কমিশন গঠন করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
৮. সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার ও আধুনিকায়নে উদ্যোগ নিতে হবে।
৯. সকল অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ (অনিবন্ধিত) বৈষম্যবিহীনভাবে আলোচনা করে সকল সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
১০. নির্বাচনের তিন মাস আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে জাতীয় নির্বাচন বির্তকিত হতে পারে।