পাকিস্তানের মন্ত্রী এসিসির প্রধান হওয়ায় এশিয়া কাপে খেলবে না ভারত

প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

 

সম্প্রতি সংঘাতে জড়ায় এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তান। তখনই শঙ্কা জেগেছিল এশিয়া কাপ নিয়ে। গুঞ্জন ছিল ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে আর খেলবে না ভারত। অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হলো। এশিয়া কাপ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিতে চলেছে ভারত।

বিষয়টি মৌখিকভাবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, আগামী জুনে শ্রীলঙ্কায় হতে চলা মেয়েদের ইমার্জিং এশিয়া কাপের পাশাপাশি সেপ্টেম্বরে ছেলেদের এশিয়া কাপেও না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

ঠিক কী কারণে এশিয়া কাপ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে এসিসি প্রধানের পরিচয়ের বিষয়টি সামনে এনেছে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র। বর্তমানে এসিসির সভাপতি মহসিন নাকভি, যিনি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান।

মূলত পাকিস্তান ক্রিকেটকে কোণঠাসা করতেই ভারত এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিসিসিআইয়ের সূত্রটি জানিয়েছে, ‘ভারতীয় দল এমন এক টুর্নামেন্টে খেলতে পারে না, যার আয়োজক এসিসি এবং এর প্রধান একজন পাকিস্তানি মন্ত্রী। এর সঙ্গে পুরো দেশের আবেগ জড়িয়ে। আসন্ন নারী ইমার্জিং এশিয়া কাপের পাশাপাশি ভবিষ্যতে তাদের (এসিসি) ইভেন্টে আমাদের অংশগ্রহণ স্থগিত রাখতে আমরা এসিসির সঙ্গে মৌখিকভাবে যোগাযোগ করেছি। আমরা ভারত সরকারের সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’

মহসিন নাকভি এসিসি প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালে ভারত এশিয়া কাপে অংশ নেবে কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার শাম্মি সিলভার জায়গায় এসিসির সভাপতি হন নাকভি। বর্তমানে সংস্থাটির কার্য নির্বাহী কমিটিতে একমাত্র ভারতীয় অরুণ ধুমাল, যিনি আইপিএল চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।

ভারত এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ালে বড় লোকসানের মুখে পড়বে এসিসি। সব দিক দিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় এসিসি অনেকটা ঘোষণা দিয়েই ভারত-পাকিস্তানকে তাদের টুর্নামেন্টে একই গ্রুপে রাখে। কিন্তু টুর্নামেন্ট-ইতিহাসের সফলতম দল ভারত না থাকার অর্থ ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ কমে যাওয়া।

ভারত এশিয়া কাপ থেকে সরে যাওয়ার অর্থ, ২০২৫ সালের আসরকে নিয়ে সঙ্কট তৈরি হওয়া। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ভারতই ছিল আয়োজক দেশ। আসর থেকে তারা নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়ে, নতুন কোনো ভেন্যু খুঁজতে হবে এসিসিকে।