
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় নবীনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-রাধিকা সড়কে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের কবরস্থানের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আক্তার খন্দকার (৪২), নবীনগর পূর্ব ইউপির সদস্য বিল্লাল মিয়া (৪৭) ও লাউর ফতেহপুর ইউপির আহম্মদপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৬০)। আহতদের নবীনগর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত অন্যরা হলেন, মো. সিয়াম (২২), ব্রাহ্মণপাড়ার ভাদুঘর গ্রামের মোহাম্মদ আরিফ ড্রাইভার (৪০), নবীনগর গ্রামের মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন (৩৬)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার কনিকাড়া এলাকায় পৌঁছালে নবীনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার পথে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আক্তার খন্দকার নিহত হন এবং পরে কুমিল্লায় নেওয়ার পর আরো দুজন নিহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদেরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আক্তার খন্দকার তার অসুস্থ স্ত্রীকে অপারেশনের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শুক্রবার সকালে নিয়ে যান। অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন শ্যালক ও নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. বিল্লাল মিয়া (৫৫) ও তার ভাই সিয়াম (২২)। বিল্লাল মেম্বারকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা তিনজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী বলেন, আমরা এই রোডে দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। গতকাল শনিবার থেকে গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স, অনভিজ্ঞ ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে, এবং মোটরসাইকেল লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেটবিহীন বাইক চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।