ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জুতার মালা পরিয়ে শিক্ষককে মারধর

প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২৫

ভোলা আক্তার:

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রক্তিম শর্মা নামে এক শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় সে শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়। শিক্ষার্থীরা মিছিলটি নিয়ে উপজেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন এবং একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শেষ হয়। মিছিলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান প্রতিবাদী স্লোগান দেওয়া হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বোরহানউদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রক্তিম শর্মার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতার বলে সে পার পেয়ে যেত। বিগত দিনে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাজা না হওয়ায় এধরণের ঘৃণ্য কাজ চালিয়ে আসছেন। সর্বশেষ গতকাল তার শর্মা কম্পিউটার অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে আরেক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন, পরে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। আমরা প্রশাসনিক ভাবে শিক্ষক রক্তিম শর্মার বিচার চাই এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। তাদের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এদিকে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক রক্তিম শর্মা গতকাল থেকে আমাদের হেফাজতে রয়েছে, স্থানীয়রা সোপর্দ করেছে। তবে ভুক্তভোগী বা তার পরিবার এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া না গেলে তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত শিক্ষক রক্তিম শর্মা বোরহানউদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি স্থানীয় হাওলাদার মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় তার শর্মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে, সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার চালানো শেখান তিনি। গতকাল (১৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে ট্রেনিং সেন্টারের ভেতরে এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ওই শিক্ষককে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।