ছাত্রদলের সুপারিশকৃত ছাত্রকে হলে না উঠানোয় শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, মে ৬, ২০২৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সোহাগের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, অফিস ভাঙচুর ও শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম লঙ্ঘন করে ছাত্রদলের সুপারিশকৃত ছাত্রকে হলে না উঠানোর জের ধরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

সোমবার (৫ মে) দুপুরে নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অফিস কক্ষে এ হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এসময় নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং শহীদ অধ্যাপক আবুল হাসেম হলের হল সুপার মো. আনোয়ার হোসেনকে লাঞ্ছিত করা হয়।

জানা যায়, নিয়ম লঙ্ঘন করে ছাত্রদলের সুপারিশকৃত ছাত্রকে হলে না উঠানোর জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার হামলা, ভাঙচুর ও শিক্ষক হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষক পরিষদ।
হেনস্তার শিকার নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েকদিন হলো আমি কলেজের হলের দায়িত্ব পেয়েছি। ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সোহাগ এসে একটা ছাত্রকে হলে উঠানোর বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন আমি বলি নিয়ম মেনে আবেদন অনুযায়ী সিট খালি থাকা সাপেক্ষে সবাইকে হলে উঠানো হবে। তখন সে আমাকে হুমকি-ধামকি ও উচ্চবাচ্য শুরু করে। আমি তাকে সংযত আচরণ করতে বললে তখন সে আরো উত্তেজিত হয়ে আমার কক্ষের টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং বলে, যে এটা তার এলাকা, আমাকে সে দেখে নেবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, কলেজের একটা নিয়ম শৃঙ্খলা আছে। শিক্ষক নিয়ম মেনে হলে উঠতে বলায় লাঞ্ছিত হবেন এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যেভাবে ভাঙচুর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে তাতে আমরা শঙ্কিত। ক্যাম্পাসে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনার বিচার না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

অভিযোগ অস্বীকার করে নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আনোয়ার হোসেন স্যার আমার সরাসরি শিক্ষক। আমি তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারি না। তবে ছাত্রদলের এক শিক্ষার্থী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় তিনি হলে উঠাননি। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। কোথাও ভাংচুরের কোনো প্রমাণ নেই।

এবিষয়ে নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি রাতে শুনেছি। আজ শিক্ষকগণ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করবে বলে জেনেছি। আমাদের স্টাফ কাউন্সিল সভা আছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে সেখানে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।