ছবির সেই অফিস নিয়ে মুখ খুললেন হান্নান মাসউদ

প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

ফেসবুকে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা-সমালোচনার জবাব দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। সম্প্রতি ফেসবুকে ‘ঈদের পরদিন প্রথম অফিস’ ক্যাপশনে দেওয়া একটি ছবি ঘিরে তার ব্যক্তিগত অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে আসে। এবার আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন—ছবির সেই অফিসটি তার নয়।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে হান্নান মাসউদ জানান, ছবিতে যে অফিসটি দেখা গেছে, সেটি আসলে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী অফিস। তিনি সাফ বলেন, ‘ওটা আমার ব্যক্তিগত অফিস নয়, এটা আমাদের দলের অস্থায়ী কার্যালয়।’

এছাড়া বন্দরে গঠিত একটি শ্রমিক কমিটি নিয়ে ভুল ধারণার বিষয়টিও পরিষ্কার করেন তিনি। হান্নান মাসউদ বলেন, ‘বন্দরে জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংয়ের যে কমিটি হয়েছে, আমি সেখানে উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত। তবে আমি কোনোভাবেই বন্দর কর্তৃপক্ষের উপদেষ্টা নই।’

এর আগে, ১২ এপ্রিল দেওয়া এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে হান্নান মাসউদ লেখেন, ‘ঈদ পরবর্তী সময়ে প্রথম দিনের মতো অফিসে আসা। এ এক অন্যরকম ভালোলাগা। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের চলমান সংগ্রাম আপাতত এখান থেকেই পরিচালিত হচ্ছে।’ সেই পোস্টেই একটি ছবি দেন তিনি, যেখানে তাকে একটি সুসজ্জিত অফিসে বসে থাকতে দেখা যায়।

এই ছবিকে ঘিরেই শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। অনেকেই মন্তব্যে প্রশ্ন তোলেন তার আর্থিক উৎস, অফিস স্থাপনের সামর্থ্য ও অতীত জীবনের সঙ্গে বর্তমান চিত্রের পার্থক্য নিয়ে।

রাশেদ খান নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘ভাই, এভাবে মেকি হাসি দিয়ে অফিস টাইমের ছবি দিতে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতাম! আপনি জনতার মাসুদ—ওবায়দুল কাদেরের মাসুদ হবেন না।’

আরেকজন, মো. আলাউদ্দীন, লিখেছেন, ‘৫ আগস্টের আগেও টিউশনি করে চলতেন। এই অফিসের ভাড়া দেওয়ার টাকা আসছে কোথা থেকে? তাহলে কি নতুন বোতলেই পুরোনো মাল খাওয়াচ্ছেন?’

একজন নেটিজেন কটাক্ষ করে লেখেন, “গ্রামের সবচেয়ে ভাঙা টিনের ঘরের ছেলেটা কোনো চাকরি না করেও এত বড় অফিসে বসে গেছে।”

সব সমালোচনার জবাবে হান্নান মাসউদ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, ব্যক্তিগত নয় বরং দলের কাজের অংশ হিসেবেই তিনি সেই অফিসে অবস্থান করছিলেন। তিনি এমন বিভ্রান্তিকর প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন।