
ক্রীড়া ডেস্ক:
ক্রিকেট বোর্ডের অর্থ এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের অভিযোগ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ব্যবসা নিয়েও তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ কর্তা। দিন শেষে রাত পোহালেই তার নামের সঙ্গে জড়াচ্ছে নিত্য নতুন অভিযোগ। তবে এসবকে কানেই তুলছেন না বোর্ড সভাপতি। উলটো নিজের দিকে ধেয়ে আসা অভিযোগগুলোকে পক্ষপাতিত্বমূলক অহেতুক সমালোচনা বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি
প্রায় আট মাস ধরে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ফারুক আহমেদ। শুরুটা ইতিবাচক হলেও যত সময় যাচ্ছে, তত তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন সাবেক এই বাংলাদেশের অধিনায়ক। ক্রিকেট বোর্ডের অর্থ এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের অভিযোগ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ব্যবসা নিয়েও তীব্র প্রশ্নের মুখে পড়েছেন দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ কর্তা। দিন শেষে রাত পোহালেই তার নামের সঙ্গে জড়াচ্ছে নিত্য নতুন অভিযোগ।
তবে এসবকে কানেই তুলছেন না বোর্ড সভাপতি। উলটো নিজের দিকে ধেয়ে আসা অভিযোগগুলোকে পক্ষপাতিত্বমূলক অহেতুক সমালোচনা বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। এ সময় সবাইকে অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা না করে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানান ফারুক।
শনিবার (৩ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের বাছাইয়ের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তার বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের এই জায়গাটা (সভাপতির পদ) অনেকের অনেক ধরনের স্বার্থ রয়েছে। তো তারাও হতে পারে (সমালোচনা তৈরি করছে)। অনেক সময় ভালো কাজগুলো নিচে পড়ে যায় বাহিরের সমালোচনার প্রভাবে।’
এ সময় তিনি সবাইকে গঠনমূলক সমালোচনা করতে আহ্বান করে বলেন, ‘আমরা ভালো কাজের প্রশংসা করব, খারাপ কাজের সমালোচনা করব। দুইটাই করব। খারাপ করলে সমালোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, মাঝেমধ্যে ভালো কাজগুলো নিচে চাপা পড়ে যায় এই খারাপ কাজের ভিড়ে। সো আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, বিকজ আপনারা যদি সত্যিটা তুলে ধরেন এবং আনবায়াসডলি কাজ করেন, আমার মনে হয় যে, আননেসেসারি সমালোচনামুক্ত হতে পারি। এটা আমার সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, কেননা আমি এমন একজন মানুষ, যদি গঠনমূলক সমালোচনা করেন, সেটা কিন্তু গ্রহণযোগ্য। কিন্তু, কিছু বিষয় আছে অহেতুক সমালোচনা; আশা করি, না করলেই ভালো। আমাদের মেইন ফোকাসটা সরে যায় তাহলে। আমার মেইন দায়িত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়া, ঐগুলোতে আমার যে ত্রুটিগুলো আছে, সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব, তারপর বাকি কাজ।’
সাদা পোশাকের ক্রিকেটে খেলোয়াড়সংকট নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘লংগার ভার্শন আসলেই একজন খেলোয়াড়ের ধৈর্য পরীক্ষা করে। অনেক দেশ আছে, যারা অন্যান্য ফরম্যাটে ভালো করছে, কিন্তু টেস্ট ফরম্যাটে নিচের দিকে। টেস্টে ভালো করতে হলে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা লাগে, খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হয়। আর এসব এক দিনে হবে না। আপনি কতটুকু অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, সেটাই বড় বিষয়। আমাদের দলে এখন ছোটখাটো ট্রানজিশন চলছে। তিন-চার জন খেলোয়াড় দলে থেকে সরে গেছে। এমন সময় যে কোনো দেশের ক্ষেত্রেই তৈরি হয়। এখন যারা সেই জায়গাগুলো নিতে চায়, তাদের তৈরি করে তোলার দায়িত্ব আমাদের। যদি তাদের ঠিকভাবে গড়ে তুলি এবং ধরে রাখতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে ফল পাওয়া যাবে। তবে নজর রাখতে হবে। পাইপলাইনটায় আমরা ঠিকভাবে দিতে পারছি কি না। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পাইপলাইনটা কিন্তু এখনো সেটি ভঙ্গুর। আরো বড় পরিকল্পনা নিতে হবে, যেন নিয়মিত নতুন খেলোয়াড় পাই।’