
নিজেস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে বহুদিন ধরেই নানা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। জনগণের করের টাকায় পরিচালিত উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম, নিম্নমানের কাজ এবং অর্থ আত্মসাৎ একটি ভয়াবহ চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাস্তা ও সেতু নির্মাণসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে এবার একযোগে ৩৬টি এলজিইডি অফিসে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার আগারগাঁওয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ দেশের ৩৬টি এলাকা জুড়ে এই অভিযান চালানো হয়। এলজিইডির অধীন চলমান রাস্তা, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান। অভিযান পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, জামালপুর, বগুড়া, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, কুমিল্লা, যশোর, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাঙামাটি, পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে। এসব এলাকায় স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল, যেমন— কাজ না করেই বিল উত্তোলন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং প্রকল্পের গুণগতমান বজায় না রাখা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েকটি দপ্তরে সরেজমিনে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। এলজিইডির আওতাধীন বেশিরভাগ নির্মাণকাজে ঠিকাদাররা গুণগতমান না মেনে কাজ করেছেন এবং কোনো কোনো স্থানে কাজ না করেই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানা যায়। সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বরাদ্দ করা অর্থের এমন অপচয় অত্যন্ত দুঃখজনক।
উল্লেখ্য, এর আগেও ১৬ এপ্রিল দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অনিয়ম ও ঘুষের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে দুদক উল্লেখযোগ্য সফলতা পায়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার এলজিইডিকেও নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।