
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর বিএনপি’র ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলের দিকে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গুরুতর ৬ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিম ও আরেক পক্ষ সাবেক এমপি মেজর অবসরপ্রাপ্ত মনজুর কাদেরের অনুসারী।
গুরুতর আহতরা হলেন, মনজুর কাদের এর পক্ষের সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সোহরাব আলী, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রওশন আলী মেম্বর, ড্যাফোডিল ক্লিনিকে ভর্তি ইউনিয়ন তাঁতি দলের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, এনায়েতপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবু তালেব ও আমিরুল ইসলাম খান আলিম গ্রুপের ৩ জনের মধ্যে থানা কৃষকদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক শিকদার, থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরুল হাসান সোহাগসহ ৩ জন রয়েছে বলে উভয় পক্ষ দাবী করেছে।
এদিকে সাবেক এমপি নিজের মঞ্জুর কাদের এর পক্ষের থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান আতা, আহত খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রওশন আলী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা এমএ কাশেম জানান, আমরা ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র দুই তিন ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করি। মঙ্গলবার বিকেলে (১৮ মার্চ, ২০২৫) স্থান দেয়া হয় সদিয়া চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ। কিন্তু আলীম পক্ষের থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব মনজুর রহমান মঞ্জু শিকদার ও তার লোকজন চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দিয়ে ফোন করিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের আয়োজন না করার জন্য বারণ করেন। এজন্য আমরা এক কিলোমিটার দূরে করোনা বাজারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করি। সদিয়া চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে থাকা সামিয়ানা সরানোর জন্য মঙ্গলবার বেলা ৩টায় গেলে দেখা যায় সেখানে আলিম গ্রুপের থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব মঞ্জু শিকদারের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে। তখন সামিয়ানা আনতে গেলে কথা কাটাকাটির দিয়ে একপর্যায়ে থানা ছাত্রদলের আহবায়ক সোহাগ সিকদার, বিএনপি নেতা কালাম শিকদার সহ তাদের লোকজন আমাদের পক্ষের ৫জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদম মারধর করে। পরে তাদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমরা এ ঘটনার দলীয় শাস্তি ও প্রশাসনের কাছে বিচার এবং নিন্দা জানাই।
এদিকে অপর সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পক্ষের এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর রহমান মঞ্জু শিকদার জানান, আমার ভাই সহ নেতাকর্মীদের উপরেই অপরপক্ষ হামলা চালিয়ে আমার দুই ভাই সহ তিন জনকে বেদম মারধর করেছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিজেদের দলের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটবে কল্পনা করিনি।
এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন রাজধানী জানান, দুই গ্রুপের বিভাজনের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা। তবে এ বিষয়ে কোন পক্ষই আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।