আমিরাতের সঙ্গে আরেকটি ম্যাচ খেলতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

 

পাকিস্তান সফরের আগের সূচি ঠিক থাকলে আরব আমিরাতের বিপক্ষে আজ ম্যাচ খেলে কাল লাহোর যেতেন লিটন কুমার দাসরা। ২৫ মে ফয়সালাবাদে খেলতেন প্রথম টি২০ ম্যাচ। ভারত-পাকিস্তান সামরিক হামলা সে হিসাব পাল্টে দিয়েছে। দেশ দুটির মধ্যে অস্ত্রবিরতির চুক্তি হলেও পাকিস্তান সফর নিয়ে দোটানায় পড়ে গিয়েছিল বিসিবি। সরকার থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ায় আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সফরটি।

এখনও যেটুকু দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে, তা ক্রিকেটারদের মতামত ইস্যুতে। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম শনিবার আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি২০ শেষ ম্যাচ শেষে টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন। পাকিস্তানে সিরিজ খেলা নিয়ে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের কাছ থেকে পক্ষে বিপক্ষে মত পাওয়া গেছে বলে জানান জাতীয় দল-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। তবে বেশির ভাগ খেলোয়াড় মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। তাদের নীরব থাকার অর্থ বিসিবির সিদ্ধান্ত যে দিকে যাবে, তারা সেদিকে থাকবেন।

বিসিবি চায় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে পাকিস্তানে দল পাঠাতে। তাই দেশে না ফিরে ২২ বা ২৩ মে লাহোের যাবে। এজন্য আমিরাতের বিপক্ষে বাড়তি একটি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সিরিজটি তিন ম্যাচে উন্নীত করতে গতকাল আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আজ জানা যাবে ইসিবি বিসিবির প্রস্তাবে রাজি কিনা ।

বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল আবেদীন আমিরাতে পৌঁছে দুই ম্যাচের সিরিজকে তিন ম্যাচে উন্নীত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ইসিবির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় গতকাল আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ফোন করে নাজমুল আবেদীনকে পাওয়া যায়নি। তবে বিসিবির এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ‘আমিরাতে ফাহিম ভাই কথা বলেছেন। তারা তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে পারেন। বোর্ড অফিসিয়াল প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে। বাকি সিদ্ধান্ত ইসিবির।’

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ গতকাল আমিরাত গেছেন। গত রাতে ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের সঙ্গে পাকিস্তান সফর নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল তাঁর। পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক জানান, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন রাজা নাকভি দুবাইয়ে ফারুকের সঙ্গে মিটিং করতে পারেন। তিনি বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দেখা করে অভয় দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক সম্প্রতি খুব ভালো হওয়ায় উভয় সরকার চাচ্ছে ক্রিকেট সফরটি হোক। তাই খেলোয়াড়দের ভিভিআইপি নিরাপত্তা দেওয়া ছাড়াও ম্যাচের সূচি অনুমোদনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বিসিবিকে। পিসিবি থেকে দুটি সম্ভাব্য সূচি পাওয়া গেছে- কোরবানি ঈদ পালনের সুবিধার্থে প্রথমটি ২৭ মে থেকে ৩ জুন পাঁচটি ম্যাচ খেলার প্রস্তাবনা। ২৭, ২৮ মে ফয়সালাবাদে হবে প্রথম দুই ম্যাচ। ৩১ মে এবং ১ ও ৩ জুন হবে বাকি তিন ম্যাচ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় প্রস্তাবনা হলো ২৭, ২৮ মে ফয়সালাবাদ, ৩১ মে তৃতীয়, ২ ও ৪ জুন চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচ খেলবে লাহোরে।

আট দিনে পাঁচটি ম্যাচ খেললে শরীরের ওপর বেশি চাপ পড়বে বলে মত ক্রিকেটারদের। তবে ভেতরের খবর হলো ঈদের অন্তত তিন দিন আগে দেশে ফিরতে চান খেলোয়াড়রা। সেক্ষেত্রে পিসিবি রাজি হলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ চার ম্যাচে করার প্রস্তাব দিতে পারে বিসিবি। শেষ কথা হলো ইসিবি তৃতীয় টি২০ ম্যাচ খেলতে রাজি কিনা। তারা রাজি না হলে লিটনদের দেশে ফিরে বিরতি দিয়ে যেতে হবে পাকিস্তান। সেটা সফরের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে।