স্বেচ্ছাশ্রমে প্রস্তুত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৪

# মাঠে থাকবে ডগ স্কোয়াড, আকাশপথে হেলিকপ্টার
# প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ
# নিরাপত্তা নিশ্চিতে চলছে গোয়েন্দা নজরদারি

এসএম দেলোয়ার হোসেন:
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। এ উপলক্ষে ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতির কাজ চলছে। তাবলিগ জামাত আয়োজিত এই ধর্মীয় সমাবেশকে সফল ও সার্থক করতে ইজতেমা ময়দানে স্বেছাশ্রম দিচ্ছেন বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষ। বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনেরও রয়েছে নানা উদ্যোগ। এছাড়া আয়োজনে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সেজন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইজতেমার মুরুব্বিদের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশেষভাবে তদারকি করা হচ্ছে।
ইজতেমা মাঠে কাজ করতে আসা কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক নিউজ পোস্টকে জানান, ইজতেমা ময়দান প্রস্তুতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। একেক গ্রুপ একেক ধরনের কাজ করছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে কেউ প্যান্ডেল তৈরিতে, কেউ অবার রাস্তাঘাট মেরামতে কাজ করছেন। নিচু জমি ভরাট, বিশাল সামিয়ানা টাঙানোর পাশাপাশি পয়োনিষ্কাশনের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান নিউজ পোস্টকে বলেন, দেশ-বিদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ বহু মুসল্লী বিশ্ব ইজতেমায় আসবেন। তাদের নিরাপত্তা ও নাশকতারোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইতোমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্বক সহায়তায় ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতে অসংখ্য মুসল্লী স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে রাত-দিন পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকা ঘিরে আগত মুসল্লীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই সভার সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর নিউজ পোস্টকে বলেন, ইজতেমা ঘিরে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ও কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। ইজতেমার ময়দান, প্রবেশপথ ও আশপাশের এলাকায় র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড, হেলিকপ্টার টহলের পাশাপাশি পোশাকে-সাদাপোশাকে পুলিশ মোতায়েন, নৌ টহল ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপনসহ সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ইজতেমা প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণসহ গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর থেকে তাবলিগের দুই গ্রুপ আলাদা করে একই জায়গায় ইজতেমার আয়োজন করছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রথম পর্ব শুরু হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।