সরকারের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে: রিজভী

প্রকাশিত: ২:০৭ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান ডামি সরকার দেশকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি পাচার করেছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের ঘনিষ্টজনরা। আজকে দুবাইয়ে অত্যন্ত দামি তিনশ তিরানব্বইটি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে। ৬৪৩টি সম্পদের খবর ছাপা হয়েছে। এ সম্পদের মালিক কারা? ব্যাংক লুটপাট করেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতুর নামে টাকা লুট করেছে, এই টাকা দিয়েই তারা দুবাইয়ে বাড়ি বানাচ্ছে। সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে।

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সমর্থনে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকায় সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, চারদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে গিয়ে এখন গোটা জাতিকে ফতুর করার জন্য একের পর এক আর্থিক খাত, সামাজিক খাত সব লুট করছে। প্রত্যেকটি খাতে এখন প্রচণ্ড নৈরাজ্য বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, একের পর এক ব্যাংক লুট হয়ে ব্যাংকগুলো ধসে গেছে। মন্ত্রীদের নামে, এমপিদের নামে ব্যাংক দিলেন। তারাই সব লুট করে ফেলছে। এখন সরকার ভালো ভালো ব্যাংকের সঙ্গে সেগুলোকে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছে। এবাবে তারা জনগণের টাকা, জনগণের সম্পদকে তারা লুটপাট করেছে, পাচার করেছে।

রিজভী বলেন, আজ বাংলাদেশের টাকা নেই। যে রিজার্ভ দিয়ে আমদানি করা যায়, যেটি দিয়ে ব্যবসা করা যায়, যেটি দিয়ে উন্নয়ন হবে, সেই টাকা আজ শূন্যের দিকে। এর কি জবাব দেবেন শেখ হাসিনা? এর জবাব তিনি দিতে পারবেন না। কারণ তার লোকেরাই এটি করেছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জনগণের ভোটের কোনো দরকার হয় না তাদের। শেখ হাসিনা যাকে পছন্দ করবে সেই হবে উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে নির্বাচনের নামে শুধু প্রহসন বা আনুষ্ঠানিকতা চলছে। সুতরাং এ নির্বাচন বর্জন করুন। আপনারা যারা ঢাকায় আছেন, আপনাদের আত্মীয় স্বজনদের এ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।