রাবিতে আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১২:০০ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৪

আফরিন আক্তারঃ 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের সামনের তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার দুই নেতা হলেন– বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক রোনাল চাকমা ও রাবি শাখার নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামিন ত্রিপুরা। অভিযোগ ওঠা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন– পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য জিনিস চাকমা, সুমন চাকমা, সুরেন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা, সুদীপ্ত তঞ্চঙ্গ্যা, দিব্য চাকমা, উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা ও বিজয় চাকমা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংগঠন সূত্র জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিকশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান হল থেকে শের-ই বাংলা হলের দিকে যাচ্ছিলেন রোনাল ও শামিন। তারা কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের সামনে এলে রিকশা থামিয়ে প্রায় ১৫ জন তাদের ওপর হামলা চালায়।রোনাল চাকমা বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় নতুন কমিটি করেছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা আমাদের মারধর করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযোগ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাবি শাখার সভাপতি জিনিস চাকমা বলেন, নতুন ওই সংগঠন শনিবার হঠাৎ বহিরাগতদের দিয়ে সম্মেলন করে কমিটি ঘোষণা করে। এ বিষয়ে আলাপ করতে শামিনকে ডাক দিই। কিন্তু তিনি ডাক না শোনায় আমরা জোর করে রিকশা থামাই। এ সময় ধাক্কা লেগে শামিন রিকশা থেকে পড়ে যান। সেখানে আমাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়েছিল। আমরাই প্রক্টরকে ফোন দিয়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।

হামলায় জড়িতদের বিচার দাবিতে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র অধিকার পরিষদ। এতে অংশ নেন রাবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন ও ছাত্র ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন।রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।