![রাজশাহীতে থানা থেকে বেরিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা](https://www.newspostbd.com/wp-content/uploads/2020/02/download-21-600x337-1.jpg)
পারিবারিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে পুলিশকে অভিযোগ দিতে গিয়ে থানা থেকে বাড়িতে আসার পর রফেলা (৪২) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। গত শনিবার এলাকার একটি পানের বরজ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান।
মামলায় রফেলার স্বামী মো. রতন ও তার প্রথম স্ত্রী শিউলি বিবিকে আসামি করা হয়েছে। রফেলার ভাই মনসুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
রফেলার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে রফেলা তার স্বামী রতন ও সতীন শিউলি বিবির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করতে থানায় যান। রফেলার সঙ্গে তালাক সংক্রান্ত বিষয়ে রতন ও তার সতীন শিউলির মধ্যে ঝামেলা চলে আসছিল। থানায় অভিযোগ না নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বলা হয়। কিন্তু পরদিন সকালে রতনের পানের বরজে রফেলার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, গৃহবধূ রফেলা আমার কাছে এসেছিল অভিযোগ দেওয়ার জন্য। তবে বিষয়টি মীমাংসা করে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। এর পরও তিনি আত্মহত্যা করেন।
তবে মামলার বাদী মনসুর রহমান দাবি করেন, এ নিয়ে কোনো মীমাংসা হয়নি। মীমাংসা না হওয়ায় এবং থানায় অভিযোগ না নেওয়ায় আত্মহত্যা করে রফেলা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চার বছর পূর্বে রফেলার স্বামী মারা যায়। এরপর শিউলি বিবির অনুমতিক্রমে রতনের সঙ্গে রফেলার বিয়ে হয়। এর বেশ কিছুদিন পর থেকেই শিউলির সঙ্গে রফেলার বিবাদ হতে থাকে। এক পর্যায়ে রফেলা তার আগের স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। সেই বাড়িতে রতন প্রায়ই থাকতেন।
এজাহারে আরো বলা হয়, রফেলাকে রতন প্রায়ই মারধর করত। এ নিয়ে রফেলা তার পরিবারের কাছে বিচ্ছেদের বিষয়েও কথা বলে। এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার থানায় অভিযোগ দিতে যান রফেলা।
তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।