মিল্টনের আশ্রম থেকে শিশু কন্যাকে ফেরত পেতে আদালতে বাবা

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার থেকে শিশু কন্যা তাইবাকে (৮) নিজের হেফাজতে নিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বাবা তোফাজ্জল হোসেন। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার এবং সাধারণ সম্পাদক মিতু হালদারকে বিবাদী করে গত ২৪ মার্চ এ মামলা করেন তিনি।বর্তমানে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে মামলাটি বিচারাধীন আছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) বাদী পক্ষের আইনজীবী হাসান আল জাবির তালুকদার সনি বলেন, মামলা দায়েরের পর আদালত বাবা এবং সন্তান তাইবার ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে বিবাদীদের শিশু তাইবাকে নিয়ে আজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু মিল্টন সমাদ্দার জেলে থাকায় বর্তমানে শামসুল হক ফাউন্ডেশন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের দায়িত্বে থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা হয়নি। আর এ কারণে শিশু তাইবাকেও আদালতে হাজির করা হয়নি। এ জন্য আজ আমরা তাইবাকে হাজির করতে শামসুল হক ফাউন্ডেশনকে আদেশ দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০১২ সালের ১৬ নভেম্বর মোসা. সুরমা আক্তারকে বিয়ে করেন। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কন্যা তাইবার জন্ম হয়। স্ত্রী অসুস্থ অবস্থায় ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর তাইবা হারিয়ে যায়। এরপর খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে বাদী চাইল্ড অ্যান্ড এইজ কেয়ার নামীয় প্রতিষ্ঠানের ফেজবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে নিজের মেয়েকে দেখতে পান।

এরপর ২০২৩ সালের ৪ মে বিবাদীর কাছে গিয়ে নিজের কন্যা সন্তানকে চিহ্নিত করেন। ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট বিবাদীরা বাদীর কন্যাকে দেবেন না বলে জানিয়ে দেয়। ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তিন দিনের মধ্যে নিজের কন্যাকে ফেরত দেওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেন তোফাজ্জল হোসেন। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় বর্তমান তিনি কারাগারে রয়েছেন।