মাকে হাসপাতালে রেখেই আইপিএলে গুরবাজ

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২৪

খেলাধুলা ডেস্ক:

গত আসরে ছিলেন দলের নিয়মিত মুখ। তবে এবারে ফিল সল্টের কারণে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের একাদশে জায়গাই পাননি রহমানউল্লাহ গুরবাজ। প্রথম কোয়ালিফায়ারে অবশ্য সুযোগ তিনি পেয়েছেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সেই কোয়ালিফায়ারে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে গেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স।

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে ঠিকই উড়ন্ত সূচনা এনে দেন গুরবাজ। যদিও ইনিংসটা ঠিক বড় করতে পারেননি তিনি। ১৪ বলে ২৩ রান করে আউট হয়েছেন এই আফগান ব্যাটার। পরে কলকাতাকে পথ দেখিয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার ও ভেঙ্কাটেস আইয়ার। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দলটি।

ম্যাচ শেষে গুরবাজ জানিয়েছেন, কলকাতার জার্সিতে যখন প্লে অফে ব্যস্ত আছেন, ঠিক একই সময়ে দেশে তার মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মূলত কলকাতার প্রতি নিজের দায়বদ্ধতার কারণেই আইপিএলে এখনও খেলছেন তিনি, , ‘আমার মা এখনও হাসপাতালে আছেন এবং আমি সবসময়ই তার সঙ্গে কথা বলছি। তবে এটাও (কেকেআর) আমার পরিবার। আমার মা এবং কেকেআর পরিবার- দুটোকেই আমার ম্যানেজ করতে পারা উচিত। এটা কঠিন, কিন্তু তবুও ম্যানেজ করে যাওয়া আমার প্রয়োজন।’

অবশ্য আইপিএলের মাঝেই মাকে দেখতে আফগানিস্তানে চলে যান তিনি। এরপর দেশের হয়ে খেলতে ফিল সল্টকে ফিরতে হয় ইংল্যান্ড। এই ইংলিশম্যানের চলে যাবার পর কলকাতার ভরসা এখন গুরবাজ। তাই দলের ডাক ফেলতে পারেননি তিনি। কলকাতাকে নিজের আরেকটি পরিবার বলে মর্যাদা দিয়েছেন তিনি।

কলকাতায় ফিরে আসার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার মা এখনও অসুস্থ। আমি আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম এবং যখন ফিল সল্ট চলে যাচ্ছিলেন তখন এখান থেকে একটা কল পাই। তারা আমাকে মেসেজ করেছিল, “গুরবাজ, আমাদের প্রয়োজন তোমাকে এবং আমাদের জন্য তোমার প্রতিক্রিয়া কী?” আমি বলেছি- হ্যাঁ, আমি আসবো।’

আইপিএলের গত আসরে জেসন রয়ের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত ওপেনিং করেছেন গুরবাজ। তবে এবার জেসন রয় না খেলায় তার বদলি হিসেবে সল্টকে দলে নেয় কলকাতা। আর মেন্টর গৌতম গম্ভীরের কৌশলে তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয় সুনীল নারিনকে। দুজনের জুটি জমে যাওয়ায় তাদের ওপরই ভরসা রাখে কলকাতা।

মূলত এই কম্বিনেশনের কারণেই একাদশের বাইরে থাকতে হয় গুরবাজকে। সল্ট ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে আইপিএল ছেড়েছেন। ফলে বিকল্প ওপেনার হিসেবে গুরবাজকেই প্রথম পছন্দ দলটির। গুরবাজও কলকাতাকে ফিরিয়ে দেননি। দায়বদ্ধতা থেকেই চলে এসেছেন কেকেআর শিবিরে।