
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, দেশ স্বাধীনের পর একটা বাহিনীর উদ্ভব হলো; ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সৃষ্টি হলো। ৫ আগস্টের পর ভুয়া সমন্বয়কের সৃষ্টি হয়েছে। ভুয়া চিহ্নিতকরণের মধ্য দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হোক।
মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গতকাল রোববার দুদক আয়োজিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মিথ্যাচার থেকে দুর্নীতির শুরু হয়। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এখন দাবি উঠেছে জনবল বাড়ানোর। জনবল না বাড়ালে কাজের গতি বাড়বে না। তিনি আরও বলেন, গণশুনানির উদ্দেশ্য কোনোভাবেই কাউকে খাটো করা বা বড় করা নয়। দুর্নীতির দুটি দিক রয়েছে। একটি ডিমান্ড সাইট আর অন্যটি সাপ্লাই সাইট। ডিমান্ড সাইট বলবে ঘুষ দিন। আর সাপ্লাই সাইট বলবে, কিছু ঘুষ দেব। সবার আগে সাপ্লাই সাইট বন্ধ করতে হবে।
প্রতিটি অফিসে সপ্তাহে না হলেও মাসে একবার গণশুনানির আয়োজনের পরামর্শও দেন আবদুল মোমেন।
জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ, দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন ও পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জের উপপরিচালক এরশাদ মিয়া প্রমুখ।
শুনানিতে মৌলভীবাজারে পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ কার্যালয়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ভূমি অফিসসহ বেশ কিছু সরকারি অফিসে সেবা পেতে দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে জবাব দেন সব অফিসের দায়িত্বশীলরা।