বাসচাপায় বাবা-মেয়ের পা বিচ্ছিন্ন, হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা মা

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫

রাজশাহী প্রতিনিধি:

 

রাজশাহীর বাঘায় মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে পা হারিয়েছেন বাবা-মেয়ে। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা মা। তারা তিনজনই একই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন।

সোমবার (১৯ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বানিয়াপাড়ার শান্ত ইসলাম, তার স্ত্রী জেসমিন এবং তাদের মেয়ে উম্মে তুরাইয়া (৫)। এদের মধ্যে বাসচাপায় শান্ত ও তুরাইয়ার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে মোটরসাইকেলে তুরাইফাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন শান্ত ইসলাম। এ সময় শান্ত ইসলামের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জেসমিনও একই মোটরসাইকেলে ছিলেন। পথে বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় বাঘা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই বাবা-মেয়ের ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একইসঙ্গে ডান হাতে আঘাত পান জেসমিন আক্তার। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সোমবার দুপুর দেড়টায় শান্ত’র শ্যালক আবিদ হাসান জানান, সন্তানসম্ভবা জেসমিন আক্তারকে রামেক হাসপাতালের আর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বাবা-মেয়েকে বিকেল ৪টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শংকার কুমার বিশ্বাস বলেন, বাবার ও মেয়ের একটি করে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা এখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনার পর চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। বাস ও মোটরসাইকেল থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কাজ করছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।