ফের কন্যাসন্তান জন্মানোর আশঙ্কা, স্ত্রীকে কেটে টুকরো করে আগুনে পুড়িয়ে ছাই

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২০

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে প্রথমে কেটে টুকরো করে সেই টুকরো অংশ একত্রিত করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী রবীন্দ্র কুমারকে গ্রেফতার করেছে রেই বেরেলি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবীন্দ্র স্ত্রীকে এমন মর্মান্তিক ভাবে খুন করেন গত ৪ জানুয়ারি। কিন্তু এ খবর জানাজানি হয় যখন তাদের বড় মেয়ে মামাবাড়ি থেকে ফিরে তার দাদির কাছে এসে পুরো ঘটনা জানায়। সেই একমাত্র মায়ের খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। সঙ্গে সঙ্গে নিহতের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন এবং গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত স্বামী রবীন্দ্র কুমারকে। দেহের অবশিষ্ট অংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে।

বিষয়টির দেখছেন পুলিশের অফিসার বিনীত সিং। তিনি জানান, মৃত ঊর্মিলা দেবীর বোন ১০ জানুয়ারি ডিহ থানায় অভিযোগ দায়েরের পরেই রবীন্দ্রর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু দেহ দেখে চেনার উপায় ছিল না, দেহটি কার। এদিকে ৪ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের পরেই ১১২ হেল্পলাইনে ফোন করে স্ত্রী নিখোঁজ বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় রবীন্দ্র। তবে জানাজানির পরেই পালিয়ে যান রবীন্দ্র। পরে নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় তাকে।

২০১১ সালে বিয়ে হয়েছিল রবীন্দ্র-ঊর্মিলার। তাদের ১১ এবং ৭ বছরের দু’টি মেয়ে আছে। তারপরেও ছেলের শখ ছিল রবীন্দ্র। তাই আবার গর্ভধারণ করেন স্ত্রী। গ্রেফতারের পরে জেরার মুখে ভেঙে পড়ে রবীন্দ্র।

জানায়, ৪ জানুয়ারি কথা কাটাকাটি থেকে অঘটনের সূত্রপাত। মাথা ঠান্ডা রাখতে না পেরে সে প্রথম ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে স্ত্রীকে। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে জ্বালিয়ে দেয়। পোড়া দেহের বাকি অংশ এবং ছাই শেষে ব্যাগে ভরে বাড়ি থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে পুঁতে রেখে আসে।