প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, মা-বাবা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৫

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী নিজ কন্যা সন্তানকে হত্যা করেছেন এক বাবা। এ ঘটনায় পুলিশ মেয়েটির বাবা, মা ও এক চাচিকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার দায় স্বীকার করে তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (১২ মার্চ) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।

গ্রেপ্তার জাহিদুল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কাগজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। হত্যার শিকার স্কুল ছাত্রী জান্নাতি (১৫) জাহিদুল ইসলামের মেয়ে।

গ্রেপ্তার বাকি দুজন হলেন- জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩৮) ও জাহিদুলের ভাইয়ের স্ত্রী শাহিনুর বেগম (৪৫)।

পুলিশ সূত্র জানায়, জাহিদুল ইসলামের সাথে তার প্রতিবেশি মজিবর রহমানের ৩২ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। জাহিদুল ইসলাম তার প্রতিপক্ষ মজিবর গংদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত শনিবার গভীর রাতে তার নিজ স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীর সহযোগিতায় জান্নাতিকে রড ও দা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন স্ত্রী মোর্শেদা বেগম ও ভাইয়ের স্ত্রী শাহিনুর বেগম। হত্যার পর জান্নাতির মরদেহ ভুট্টাক্ষেতে ফেলে আসেন তারা। তারপর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেন।

পরে হত্যার ঘটনায় নিহতের চাচা খলিল হক (৫৫) বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর কুড়িগ্রাম থানার পুলিশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের বেরিয়ে আসে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ কন্যাকে হত্যা করে বাবা-মা।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার তদন্তকারী অফিসার কুড়িগ্রাম থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ ও ডিবি পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করে মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে। পরে আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।