প্রতিটি পাইপে কলাগাছ দেওয়া গেলে স্বস্তি পেতেনঃ মেয়র আতিক 

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ 

খালের মধ্যে বাড়ির পয়োঃবর্জ্যসহ অন্যান্য বর্জ্য ফেলা প্রতিটি পাইপের মধ্যে কালাগাছ দিতে পারলে মনের দিক থেকে খুব স্বস্তি পেতেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।সোমবার (১৩ মে) ডিএনসিসির নগর ভবনের হল রুমে মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

গত চার বছরে দায়িত্ব পালনে নিজের ব্যর্থতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ব্যর্থতা তো আছেই। আমাদের একটি আধুনিক পশু জবাইখানা করার কথা ছিল। এটি এখনো আমরা করতে পারিনি। আর সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যখন দেখি সবাই আমার আমার ভেবে চিন্তা করে, আমাদের সবার কথা চিন্তা করে না। এই আমার চিন্তা করে সব শেষ হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, খাল যখন দেখি দূষণ হয়ে যাচ্ছে, তখন খারাপ লাগে। কীভাবে মানুষ বাথটাব, টেলিভিশন, ফ্রিজ, জাজিম খালের মধ্যে ফেলে দেয়? এতে তো জলাবদ্ধতা হবেই।

খাল উদ্ধারে ‘কলাগাছ থেরাপি’র কথা উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ির বর্জ্য যেসব পাইপের মধ্য দিয়ে খালে ফেলা হয়, সেই প্রতিটি পাইপে কলাগাছ দিতে পারলে আমার মনে স্বস্তি, শান্তি পেতাম। আমার ব্যর্থতা এখানে। কারণ কীভাবে বারিধারা, গুলশানের লোকরা খালের মধ্যে কালো বর্জ্য দিয়ে দিচ্ছে। এটি অত্যন্ত কষ্ট লাগে আমার।

সফলতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষা যে দেয় সে রেজাল্ট দেয় না। সুতরাং, আমরা পরীক্ষার মধ্যে আছি, আমরা পরীক্ষা দিয়েই যাচ্ছি। পরীক্ষার ফল আমাদের জানাবেন জনগণ, সাংবাদিকরা।

আগামী এক বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি আগামী এক বছরে খালের দিকে ফোকাস দিতে চাই। এই খালগুলোকে পুনরুদ্ধারে আমি বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। আমি আমার কাউন্সিলরদের বলেছি, খালের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ কারওয়ান বাজারকে স্থানান্তর করা। এটি আমরা হাতে নিয়েছি, আশা করি এটিও আমরা সফলতার সঙ্গে করতে পারব। আর ডিএনসিসির ১৮টি ওয়ার্ডকে আমাদের সাজাতে হবে এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে চাই।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।